Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুণ্ডে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ ডাকাত নিহত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:৫৫ এএম

গত ৩ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা বাইপাসের একই এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছিলেন। ওই দুজন ঈদে ঘরমুখী মানুষকে বহনকারী গাড়িতে ডাকাতি করছিলেন বলে জানিয়েছিল র‌্যাব।

গত ২৩ অক্টোবর সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার অন্যতম আসামি নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু নামের একজন নিহত হন। পুলিশ জানায়, নজির ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার একদিনের মাথায় মহাসড়কে ছিনতাই করতে নেমে পড়েন। এ ঘটনায় ওই এলাকার কবরস্থানে নিহত নজিরের লাশ দাফন করতে দেননি স্থানীয় লোকজন।

গতকাল আবারও সীতাকুণ্ডে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের কুমিরা বাইপাস সড়কের বড় কুমিরা সেতু এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাবের দাবি, তিনজনই আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। রাতে র‌্যাবের টহল দলের সঙ্গে তাদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুটি পিস্তল, ১২টি গুলি ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে র‌্যাব।

গতকালের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, তাদের একটি টহল দল চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। বড় কুমিরাখাল এলাকায় পৌঁছালে একদল ডাকাত তাদের গাড়িটি ডাকাতির চেষ্টা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। পরে সেখানে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

তিনজনকে উদ্ধারের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, র‌্যাবের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে মহাসড়কের ওপর থেকে একজন, মহাসড়কের ১০ ফুট নিচে খালের পাড় থেকে একজন এবং খাল পেরিয়ে অন্য পাড় থেকে আরেকজনকে উদ্ধার করেন। যুবকদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

এসআই মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই তিনজনকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে লাশ তিনটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত যুবকদের একজনের পরনে লুঙ্গি ও স্যান্ডো গেঞ্জি। অন্য দুজনের পরনে প্যান্ট ও টিশার্ট ছিল। তাদের ঘাড়, বুক, পেটসহ বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দুকযুদ্ধে নিহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ