নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন খুলনার এনামুল হক বিজয় ও ঢাকা বিভাগের সাইফ হাসান ও রনি তালুকদার। চট্টগ্রামে বোলারদের স্বর্গরাজ্যে ৮৩ বলে শতরানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন পিনাক ঘোষ। তৃতীয় দিন শেষে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন চট্টগ্রামের ইরফান হোসেন ও খুলনার মেহেদী হাসান।
কক্সবাজারে ঢাকা বিভাগ ও খুলনার মধ্যকার ম্যাচে দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাট হাতে দুই উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করেছিল ঢাকা। ফিফটি হাঁকানোর পরেই আউট হন রকিবুল। দলীয় ২৩৩ রানে আব্দুর রাজ্জাকের বলে আউট হন তিনি। সেই সাথে ভাঙে ১০৮ রানের জুটি। দলীয় ২৬৭ রানে আউট হন ব্যক্তিগত ৭২ রান করা সাইফ হাসান। এরপর কোন ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেনি ঢাকার হয়ে। তাঁদের ইনিংস থামে ৩১৬ রানে। তিনটি উইকেট পান রাজ্জাক ও চারটি উইকেট পান মেহেদি হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালো অবস্থানে রয়েছে খুলনা। পাঁচ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা। এনামুল-ইমরান মিলে গড়েন ১০৬ রানের জুটি। ইমরান ৬৬ করে আউট হলেও পরের উইকেটে ১৩৪ রান জুটি গড়ে দিন শেষ করে খুলনা। ৬১ করে অপরাজিত রয়েছেন এনামুল।
অন্যদিকে কক্সবাজারে জাতীয় লিগের আরও একটি ম্যাচে বিপদে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এ ম্যাচও হারের পথে তারা। ২৭৪ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় রংপুরের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুশফিক-সাব্বির-জহুরুলবিহীন রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে যেন ধ্বস নেমেছে। ব্যক্তিগত ত্রিশ পেরিয়েছেন কেবল একজন। জুনায়েদ সিদ্দীকি করেন ৩৪ রান। তারপরেই রয়েছে শাকির হোসেন। ভারত সফরে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য একাদশে নেই সাব্বির, নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে করেছে ১২৯ রান। লিড পেয়েছে মাত্র ৫৬ রানের। রংপুরের হয়ে দুইটি করে উইকেট লাভ করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ, মাহমুদুল ও তানভীর হায়দার।
বিভাগীয় দলের হয়ে গত আসরের মত এবারো ইরফান হোসেন খেলছেন জাতীয় লিগে। এর আগে ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেললেও কখনো প্রাদপ্রদীপের আলোর নিচে আসা হয়নি। তবে ২৩ বছর বয়সী এই তরুণই গতকাল কেড়ে নিলেন সব আলো। ইরফানের গতিতে কুপোকাত সিলেট দুই দিনের বৃষ্টি বাধা ডিঙিয়ে ব্যাট করতে নেমে গুটিয়ে গেছে ১৬৩ রানে। জবাবে ৬ উইকেট হারানোর চট্টগ্রামও স্কোরবোর্ডে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি। তবে দ্বিতীয় স্তরে তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে লিড পেয়েছে চট্টগ্রাম। আগের দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি ইরফান। এবার সুযোগ পেলেন তো প্রথম দুই দিন চলে গেল বৃষ্টির পেটে। নিজেকে প্রমাণের জন্য এজন্যই বুঝি উদগ্রীব হয়ে ছিলেন ডানহাতি পেসার। রাজশাহীতে টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেটের ৬টি উইকেট একাই তুলে নেন তিনি। এছাড়া ৩টি উইকেট শিকার করেন আরেক তরুণ হাসান মাহমুদ। সিলেটের পক্ষে অলোক কাপালি ৪২, ইমতিয়াজ হোসেন ২৪ ও জাকির হাসান ২১ রান করেন। এদিকে গতকালও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে বরিশাল বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হতে পারেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর, ৩য় দিন শেষে
খুলনা-ঢাকা, কক্সবাজার-২
খুলনা ১ম ইনিংস : ৩৭১।
ঢাকা ১ম ইনিংস : ১১০ ওভারে ৩১৬ (রনি ৭৩, জয়রাজ ৫১, সাইফ ৭২, রকিবুল ৫৬, তাইবুর ৩১; মেহেদি ৪/৯২, রাজ্জাক ৩/৭২, মইনুল ১/৩৭, হালিম ১/৩৮, রুবেল ১/৬৮)।
খুলনা ২য় ইনিংস : ৪৪ ওভারে ১৪৫/২ (এনামুল ৬১*, ইমরান ৬৬, তুষার ১৬*; সালাহউদ্দিন ১/১৭, নাজমুল ১/৫৫)।
রাজশাহী-রংপুর, কক্সবাজার-১
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ৭১.৪ ওভারে ২০১।
রংপুর ১ম ইনিংস : ১১৮.৫ ওভারে ২৭৪ (মারুফ ৭৮, নাঈম ৫৪, আরিফুল ৪৭, নাসির ৬২, ধীমান ১৬; দেলোয়ার ১/৪৫, তাইজুল ১/১২, সানজামুল ৩/৮৬, ইফতেখার ২/৫৯, সাকলাইন ১/২০)।
রাজশাহী ২য় ইনিংস : ১২৯/৬ (৭৬ ওভার) (মিজানুর ১৭, শাকির ২৯, জুনায়েদ ৩৪, মোহাইমিনুল ৬, মুক্তার ১৯*; সোহরাওয়ার্দী ২/২৪, মাহমুদুল ২/২১, তানবীর ২/২৩)।
সিলেট-চট্টগ্রাম, রাজশাহী
সিলেট ১ম ইনিংস : ৪৪.২ ওভারে ১৬৩ (অলোক ৪২, ইমতিয়াজ ২৪, জাকির ২১; ইরফান ৬/৫৭, হাসান ৩/৪৯, রানা ১/৩৩)।
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ৩৩ ওভারে ১৯১/৬ (পিনাক ১০০, সাদিকুর ৩৭; এনামুল জুনি. ২/৩৫, রাহী ২/৬৪, ইমরান ১/৩০)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।