Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাংকিং চ্যানেল হতে চায় সোনালী ব্যাংক

গুগল-ফেসবুক-ইউটিউব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দেশের সার্চ ইঞ্জিন গুগল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবের বিজ্ঞাপনবাবদ গত পাঁচ বছরে ২৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পরিশোধ হয়েছে। বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে এতোদিন পরিশোধ হয়েছে ওই টাকা। এবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের ২১৮টি শাখা এ সেবায় যুক্ত হতে চায়। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে। যেখানে ব্যাংকটি বিজ্ঞাপনের অর্থ থেকে রাজস্ব আহরণের সাথে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

চিঠিতে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের একমাত্র ট্রেজারী ও বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক। দেশে ও বিদেশে এক হাজার ২১৮টি শাখা ও ৬৪৭টি করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশীপ প্রতিষ্ঠানের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ ব্যাংক সকল শাখায় রিয়েল টাইম অনলাইন ব্যাংকিংসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সেবা প্রদান করে আসছে।

আরও বলা হয়, সম্প্রতি ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবসহ প্রযুক্তি নির্ভর আন্তর্জাতিক বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের দেওয়া সেবার (বিজ্ঞাপন) উপর ভ্যাট আদায়ে এনবিআর বেশ তৎপর। সে অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরিত অর্থ থেকে ভ্যাটও আদায় হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সেবা মূল্য থেকে ভ্যাট আদায়ে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানে আগ্রহী। ভ্যাট আহরণ আর সেবা প্রদানের এমন কার্যক্রমে এ ব্যাংককে অংশীজন করলে গৌরবান্বিত বোধ করবো। এ সেবায় সম্পৃক্ত করতে চেয়ারম্যানকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচবছরে বিজ্ঞাপন বাবদ গুগল-ফেসবুকসহ চারটি ইন্টারনেট জায়ান্ট বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় করেছে; যা বাংলাদেশি টাকায় ২৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এর বিপরীতে ভ্যাট পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিল বাবদ ১০২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংক এনএ’র মাধ্যমে ৪৩ কোটি ৬ লাখ টাকা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা, ঢাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সাত কোটি এক লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের মাধ্যমে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে তিন কোটি ৫৯ লাখ টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে এক কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং এবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংকিং


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ