তালের ফোপড়া(তালের বীচের মধ্যের নরম অংশ) খাওয়ানোর কথা বলে পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে এক কিশোরী গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষনের পর সে দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ঐ কিশোরীর। ধর্ষনের শিকার কিশোরীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। সদর থানার পুলিশ ইতোমধ্যে ধর্ষকদের সহায়তাকারী ২জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ ও ধর্ষনের শিকার কিশোরীর পরিবার জানায়,ধর্ষনের শিকার কিশোরী ঢাকায় একটি গার্মেন্টস চাকুরী করতো। চাকুরী পরিবর্তনের কারনে কিছুদিন ছুটির সুয়োগ পায় এ কিশোরী। ছুটির ফাঁকে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উত্তর বাদুরা গ্রামে বেড়াতে আসে কয়েক দিন পূর্বে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ধর্ষনের শিকার কিশোরীর চাচাতো ভাবী কহিনুর বেগম তাঁকে তালের ফোপড়া খাওয়ার জন্য তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি ঘরের পিছনে রান্না ঘরের বাইরে বসে কিশোরীকে দা আনতে ঘরের ভিতরে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একই বাড়ির শাহ আলম মৃধার ছেলে ইসা(১৯) এবং বারেক মৃধা ছেলে কাওসার(২০) ঐ কিশোরীর মুখ চেপে তাঁকে ঘরের মধ্যে ধর্ষন করে। এ সময় ধর্ষনের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করা হয় বলে অভিযোগ করেছে কিশোরী। বিষয়টি কিশোরী তার মাকে জানালে সে অভিযুক্ত ছেলেদের অভিভাবকদের জানায়। পরে কিশোরীর বাবা ঘটনা জানতে পেরে বিকেল চারটার দিকে কিশোরীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় মুসা(২২) ও সোহেল(২৩) নামে দুই জনকে আটক করে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,খবর পাওয়ার পর পরই ধর্ষকদের আটকের বিষয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় অভিযুক্তদের পালিয়ে যেতে সহয়তা করার অপরাধে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। থানায় মামলা পক্রিয়াধীন।আগামীকাল সকালে ধর্ষনের শিকার কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।