নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঠিক যেদন ন্যয্য দাব আদায়ের সংগ্রামে আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা ঠিক সেদিনই সংবাদমাধ্যমে খবর, দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি করেন সাকিব আল হাসান।
গত কয়েক দিনে এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য না করলেও মাঠে ক্রিকেট ফেরার দিনই হুঁশিয়ারি পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এই ‘অবধৈ’ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে চুক্তির নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তিনি। নিয়ম-বহির্ভূত চুক্তি করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বোর্ড। বিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের যে চুক্তি রয়েছে, সে অনুসারে, জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকা অবস্থায় কোনো খেলোয়াড় টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কোনো চুক্তি করতে পারবেন না। গতকাল বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলনেতা সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন তারা, ‘চুক্তি করার আগে সাকিব আমাদের অফিসিয়ালি জানিয়েছে বলে আমাদের রেকর্ডে নাই। প্রথমত, যেকোনো চুক্তির আগে আমাদের জানাতে হয়। দ্বিতীয়ত, টেলকম কোম্পানির সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো চুক্তি করা যায় না। প্রেসিডেন্ট (নাজমুল হাসান পাপন) এটা নিয়ে কথা বলেছেন। আমরাও দেখছি, ব্যবস্থা নেব।’
দুপুরে মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে নিজামউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন সাকিব। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। পরে সংস্কারের অপেক্ষায় থাকা মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোর পরিদর্শন করেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হোসেন পাপন। এরপর গণমাধ্যমকে বিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, সাকিব কোনোভাবেই গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন না। কেন পারেন না- সে বিষয়টি বোর্ডের সঙ্গে তার চুক্তিতে লেখা রয়েছে, ‘আমি তো বলেছি-ই আমাদের আইন অনুযায়ী সে এটা করতে পারে না। এটা টেলিকম কোম্পানিও জানে, সেও (সাকিব) জানে। ওদের (ক্রিকেটারদের) সঙ্গে তো আমাদের চুক্তি আছে। সে চুক্তি অনুযায়ী এটা করা যায় না। এখন আমরা তাকে (সাকিবকে) চিঠি দিচ্ছি। তাকে তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে, কেন সে এটা করল।’
ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির চুক্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোনো টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে কোনো ক্রিকেটার ব্যক্তিগত চুক্তিতে যেতে পারবেন না এবং অন্য কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে যেতে চাইলে সমস্ত কাগজপত্র বিসিবি থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। বোর্ড প্রধান সাকিবের এমন আচরণকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ পাঠানোর এবং তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করার প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্রিকেটারদের আন্দোলন ও এরপর সমঝোতার মাধ্যমে খেলায় ফিরে আসায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনুরোধ করলে সাকিব কোনো ছাড় পাবেন কি-না জানতে চাইলে বোর্ড প্রধানের স্পষ্ট জবাব, ‘প্রশ্নই উঠে না।’
এগারো দফা দাবি নিয়ে গত ২২ অক্টোবর ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে যাওয়ার পর দিনই গ্রামীণফোনের সঙ্গে ব্যক্তিগত চুক্তিতে যান সাকিব। গ্রামীণফোন ও সাকিবের ফেসবুক পাতায় সে চুক্তির খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হয়। সেসময়ই এই চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু বিসিবির তা নজরে এসেছে ক্রিকেটারদের ধর্মঘট শেষ হওয়ার পর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।