পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ প্রতি মুহূর্তে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিউনিটি পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। তিনি অন্যান্য সেবার পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের গুজব প্রতিরোধে কাজ করার আহ্বান জানান।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। ‘পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ি’ স্লোগানে সারাদেশে একযোগে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এদিকে, গতকাল আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষ্যে পৃথক একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শিশুরাই ভবিষ্যতে আলোকিত ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সবাই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য আমরা জঙ্গি মোকাবিলা করতে পেরেছি। এ বিষয়টি এখন আমরা বীরদর্পে বলতে পারি যে, আমরা পেরেছি। মন্ত্রী বলেন, এক যুগ আগে আপনারা যে পুলিশ দেখেছিলেন, আর বর্তমানে যে পুলিশ দেখছেন- তা এক নয়। বর্তমান পুলিশ সদস্যরা দেশের জন্য কাজ করেন, দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখেন। বর্তমান পুলিশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে অদম্য ভূমিকা রেখে চলেছে। তিনি বলেন, একশ’ বছর আগে গ্রামগঞ্জে বিচার-আচার করতেন গ্রামের মোড়লরা। কিন্তু সেই সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়ে এখন কাজটি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে করা হচ্ছে। থানায় বসে গ্রামের একটি পরিবারের সমস্যা সম্পর্কে পুলিশ জানতে পারে না। কিন্তু কমিউনিটি পুলিশিং সেটি জানতে পারে। ওই গ্রামের মানুষ কী চায়, কিংবা সরকার কী চায় এগুলোর সমন্বয় তারাই করতে পারে।
কমিটি পুলিশের সদস্যদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের উপরে জনগণের আস্থা তৈরি করতে হবে। জনগণ যেন আপনাদের শ্রদ্ধা করে, বিশ্বাস করে সেই জায়গাটি থেকে কাজ করতে হবে। সেটি পারলেই কমিউনিটি পুলিশ যে জন্য গঠন করা হয়েছে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।
গুজব প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন বাংলাদেশে কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু আপনাদের সহযোগিতায় সেসব চ্যালেঞ্জ একের পর এক মোকাবিলা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আপনারা দেখেছেন, ভোলায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কী একটি ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা মনে করি, আপনারা যারা আছেন, তাদের প্রথম কাজ হবে এই মিথ্যা ও ভুল তথ্যের বিভ্রান্তি যেন তৈরি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ফেসবুকের প্রভাব আমরা রামুতে দেখেছি, নাসিরনগরেও দেখেছি। অতি স¤প্রতি ভোলাতেও দেখেছি। সেজন্য কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্য নিয়ে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ড. মইনুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিশুরাই শান্তির বিশ্ব গড়বে
এদিকে, আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে সকালে ফার্মগেটে একটি স্কুলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিশুরাই ভবিষ্যতে আলোকিত ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলবে। আজকে আমার সামনে যারা বসে রয়েছে, তারা সবাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তারাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাদের ভবিষ্যৎ কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই চেষ্টাই আমরা করে যাচ্ছি। এই শিশুরাই আমাদের গর্ব ও ভবিষ্যৎ। শিশুদের জন্য সুন্দর একটি বাংলাদেশ রেখে যাওয়াই আমাদের স্বপ্ন। তিনি হানাহানির দৃশ্য বন্ধ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।