পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আপনারা জানেন, প্রতিদিন বাংলাদেশে কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আপনাদের সহযোগিতায় সেসব চ্যালেঞ্জ একের পর এক মোকাবিলা করা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন, ভোলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী একটি ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আপনাদের প্রথম কাজ হবে এই মিথ্যা ও ভুল তথ্যে বিভ্রান্তি যেন তৈরি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা। ফেসবুকের প্রভাব আমরা রামুতে দেখেছি, নাসিরনগরেও দেখেছি। অতি সম্প্রতি ভোলায়ও দেখেছি। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্য নিয়ে সচেতনভাবে কমিউনিটি পুলিশকে কাজ করতে হবে।’-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এতে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. মইনুর রহমান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি-প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত করেছি, মাদকমুক্তও করতে পারব। মাদকের সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে বিশ্বের কাছে উচ্চমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সবার আগে প্রয়োজন মানুষের নিরাপত্তা। এটা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, পুলিশকে সবাই সহযোগিতা করতে হবে। তাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে হবে। সে জন্য আমরা কমিউনিটি পুলিশিং-ব্যবস্থা চালু করেছি।’ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। সে জন্য আমরা জঙ্গি মোকাবিলা করতে পেরেছি। এখন আমরা বীরদর্পে বলতে পারি, আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন করতে পেরেছি, মাদকমুক্তও করতে পারব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।