পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে নেই পর্যাপ্ত মনিটরিং সিস্টেম। সিসি ক্যামেরার অভাব আর নিরাপত্তা কর্মীদের অসচেতনতায় প্রায়ই হলগুলোতে ঘটছে চুরি, বহিরাগতদের মাদক সরবরাহ সহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। মনিটরিং না হওয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি অতিদ্রুত হল গুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।
ছেলেদের হলগুলোর সামনে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় ভ্যানওয়ালা ও হকাররা অবাধে ঢুকে পড়ছে হলের ভিতরে। বিনা বাধায় বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের এমন চিত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের আবাসিক প্রতিটি হলে। কে কখন কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না। তার ওপর নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামান্য নজরদারি। এই সুযোগে ঘটছে চুরির মতো অপ্রীতিকর ঘটনা। বিশেষ করে জিয়াউর রহমান, সাদ্দাম হোসেন ও লালন শাহ হলের গেস্ট রুমগুলাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বহিরাগতদের আনাগোনা প্রায় সময় দেখা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হল থেকে মোবাইল, টাকা, ল্যাপটপ চুরি হচ্ছে। নবনির্মিত শেখ রাসেল হলে গত তিন চার মাসে ২০টির মত মোবাইল ও মানিব্যাগসহ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত উভয়ই। সর্বশেষ শেখ রাসেল হলের ১১০ নং রুম থেকে মোবাইল ও টাকা চুরির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু জানায়, ‘বিকেলের দিকে রুমে ফোন রেখে ওয়াশরুমে যাই। ফিরে এসে দেখি মোবাইল নেই। মানিব্যাগে কিছু টাকা ছিলো সেটাও নেই। চুরির কিছু আগে সময় আগে রুমে একজনকে উঁকি দিতে দেখেছিলাম বলে মনে হলো। কিন্তু তাকে চিনতে পারিনি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ছেলেদের আবাসিক হলগুলোতে বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, লালন শাহ হল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হলে প্রায়ই বহিরাগতদেরকে মাদকের ব্যাগসহ প্রবেশ করতে দেখা যায়। রাতের আধারে এসব নেশাজাতীয় দ্রব্য পেীঁছে যায় হলের বেশ কিছু চিহ্নিত কক্ষে। এসব কক্ষে ও হলের ছাদে রাতভর চলে নেশার আড্ডা।
শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা বুয়েটে আবরার হত্যার মত বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ইবিতে ঘটলে এর দায়ভার কে নেবে?। হলগুলাতে কোন প্রকার অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে সিসি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নিবেন এমন সুব্যবস্থাও নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের। এবিষয়ে ভীতসন্ত্রস্ত বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
এদিকে মেয়েদের আবাসিক দেশরতœ শেখ হাসিনা হলেও সাম্প্রতিক চুরির ঘটনা ঘঠেছে। তাদের হলের প্রাচীর উপেক্ষা করে হলের এরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করে মোবাইল ও টাকা চুরি করে নেওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা না থাকায় এর থেকে বড় ধরনের অপরাধ করেই যাচ্ছে তারা। যার ফলে প্রতি নিয়ত হুমকির মুখে জীবন যাপন করতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রশাসন ভবন এবং অনুষদগুলোতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকলেও এগুলো কতখানি সচল বা কার্যকর আছে এবিষয়ে সন্দিহান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হল গুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নতুন পুরাতন ৫টি ছাত্র হলের দুই একটিতে সিসি ক্যামেরা থাকলেও অধিকাংশ হল অরক্ষিত। এমনকি যেসব হলে সিসি ক্যামেরা আছে সেসব হলের প্রতি ব্লকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে শেখ রাসেল হলের প্রতি ব্লকে ক্যামেরা না থাকলেও মসজিদের ভিতরে সিসি টিভি ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছে। মসজিদের ভিতরে সিসি টিভি ক্যামেরা সংযোজন করাই শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে প্রক্টর (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, ‘হল তার নিজস্ব গতিতে চলবে এর জন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। কোন অপরাধীকে অপরাধ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। অপরাধীদের সনাক্ত করার জন্য হল প্রভোস্টরা যদি চাই তাহলে হলের প্রতি ব্লকে সিসি ক্যামেরা সংযোজন করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রভোস্টরা যদি সিসি ক্যামেরা লাগান তাহলে তার সকল খরচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বহন করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।