মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উধাও ‘মোদি ম্যাজিক’! ভারতের উপনির্বাচনে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির এলাকা গুজরাটে হতাশ হল বিজেপি। দলের হতাশা এনডিএ শরিক নীতীশ কুমারের বিহারেও। ওদিকে, গোটা দেশেই দলত্যাগী নেতাদের কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের জনতা।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের পাশাপাশি ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরি মিলিয়ে মোট ৫১টি বিধানসভা ও ২টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে উধাও ‘মোদি ম্যাজিক’। ৫১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে আসতে চলেছে কমপক্ষে ১২টি। উত্তরপ্রদেশের ১১টি আসন ছাড়াও গুজরাটের ৬টি, বিহারের ৫টি, অসম ও পাঞ্জাবের ৪টি, কেরালার ৫টি, সিকিমে ৩টি, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে ২টি করে, অরুণাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওডিশা, ছত্তিশগড়, মেঘালয়, তেলেঙ্গানা এবং পুদুচেরির ১টি করে কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাতারা লোকসভা কেন্দ্রে নিজের দূর্গ অটুট রাখতে সক্ষম হয়েছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। পাওয়ারের এই কেন্দ্রে প্রার্থী না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি কটাক্ষ করেছিলেন। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তথা শিবাজির বংশধর উদয়নরাজে ভোসলেকে লক্ষাধিক ভোটে হারিয়েছেন এনসিপি’র শ্রীনিবাস পাটিল। উদয়নরাজে এনসিপি’র হয়ে জেতার পরে দল ছেড়ে বিজেপি’তে গিয়ে আসনটি ছেড়ে দেন। তাই উপনির্বাচন হয়। এবার তিনি ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। বিহারে সমস্তিপুর লোকসভা কেন্দ্রে এনডিএ শরিক লোকজনশক্তি পার্টির প্রিন্স রাজ জিতেছেন। রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই রামচন্দ্রের মৃত্যুর পর খালি হয় আসনটি।
কিন্তু বিহারের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৪টিতে হেরেছেন নীতীশের দল জেডি (ইউ) প্রার্থীরা। ২০২০ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সমস্তিপুর লোকসভা আসনটি ধরে রাখতে পারলেও কিসানগঞ্জ, বেলহার, নাথনগর এবং দারাউন্দা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে জেডি’র (ইউ) ফল নীতীশ তো বটেই, বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বকেও চিন্তায় ফেলেছে। সব ক’টি আসন জেডি’[র (ইউ) দখলে ছিল। বক্তিয়ারপুর ছাড়া বাকিগুলিতে জিতেছে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এমআইএম।
ওদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাটে ৬টি আসনে উপনির্বাচন ছিল। ৪টি আসনে হেরেছে বিজেপি। পরাজিত হয়েছেন ‘দলবদলু’ অল্পেশ ঠাকোর। গুজরাটে গতবারের জেতা আসনও ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। এবার রাধনপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপি’তে নাম লেখানো অল্পেশ ঠাকোর। শোচনীয় পরাজয় হয়েছে তার। জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী রঘু দেশাই। লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দেন ৪ বিধায়ক। অল্পেশের সঙ্গেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি’র হাত ধরেছিলেন বাভাড কেন্দ্রের ধবলসিং জালা। তিনিও হেরেছেন। জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের শিবা প্যাটেল। বিরোধী দল ছেড়ে শাসক বিজেপি’তে নাম লেখানো নেতাদের শিক্ষা দিয়েছে জনতা। তামিলনাড়–তে এনডিএ শরিক ডিএমকে’র ২টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে বিরোধী দল এডিএমকে।
তবে আসামে এনআরসি বিতর্ক বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে বিরূপ প্রভাব ফেলেনি। সেখানে চারটি বিধানসভায় ভোট হয়েছিল। তিনটি ধরে রেখেছে বিজেপি। মুসলিম অধ্যুষিত জনিয়া কেন্দ্রে হেরে গিয়েছে কংগ্রেস। অরুণাচলের একটি আসনে জিতেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী। মেঘালয়ের একটি আসনে জিতেছেন প্রাক্তন স্পিকার প্রয়াত ডনকুপার রায়ের ছেলে বালাজিয়েড কুপার সিনরেম। উত্তরপ্রদেশে ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে। বিজেপি ১০টি আসনে লড়েছে। একটি আসন ছাড়া হয়েছিল শরিক আপনা দলকে। বিরোধীদের জোট হয়নি। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি সব ক’টি আসনেই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছে। আমজনতার বিশেষ নজর ছিল রামপুর কেন্দ্রে। সপা’র প্রার্থী হয়েছিলেন সাংসদ আজম খানের স্ত্রী তানজিম ফতেমা। বিজেপি’র ভারতভ‚ষণ গুপ্তাকে হারিয়েছেন তিনি। বিজেপি পেয়েছে ৭টি, সপা ৩টি, আপনা দল ১টি আসন। গণনা চলাকালীন গঙ্গোহ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীকে গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ তুলে টুইট করেছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। পুরো বিষয়টিকে ‘গণতন্ত্রের অপমান’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সূত্র : টিওআই, জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।