Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সাখারভ পুরস্কার জিতলেন কারাবন্দি উইঘুর শিক্ষাবিদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের শীর্ষ মানবাধিকার পুরস্কার জিতেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগে চীনে কারাদন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও চীনের মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুর স¤প্রদায়ের সদস্য ইলহাম টোটি। তিনি উইঘুর স¤প্রদায়ের প্রতি চীনের আচরণের কট্টর সমালোচক। ২০১৪ সাল থেকে তিনি যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ করছেন। আগামী ডিসেম্বরে স্ট্রাসবুর্গে এক অনুষ্ঠানে তার অনুপস্থিতিতেই সাখারভ পুরস্কার নামে পরিচিত এই মানবাধিকার পুরস্কার প্রদান করা হবে। চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স‚ত্রে খবর আসছে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে। চীনে হান চাইনিজরা সংখ্যাগুরু। তাদের তুলনায় মুসলিম উইঘুরদের সংখ্যা নগন্য। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ এনেছে তারা। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। জিনজিয়াংয়ের আরটুশ শহরে জন্ম ইলহাম টোটির। অর্থনীতির এই শিক্ষক উইঘুর ও চীনা হান স¤প্রদায়ের সম্পর্ক নিয়ে নিজের গবেষণার জন্য সুপরিচিত। ২০১৪ সালে বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর সময়ে আটক হন তিনি। তিয়ানমেন স্কয়ারে উইঘুরদের চালানো এক আত্মঘাতী হামলার পর বেইজিংয়ের ভ‚মিকার সমালোচনা করার পর আটক হন তিনি। বিচারের সময় প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ আনেন। ওই সময়ে মানবাধিকার গ্রুপ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল, ইলহাম টোটি ধারাবাহিকভাবে, সাহসিকতার সঙ্গে বিভিন্ন স¤প্রদায় ও রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিপ‚র্ণভাবে আলোচনার পক্ষে কথা বলেছেন। রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ