বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে ফাতেমা বেগম (৭০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় জাফর আহম্মদ (৩২), শাহজাহান (৪০) ও ঝানু (৩৫) নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মহিদীপুর গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, গত ৭/৮ বছর আগে মহিদীপুর গ্রামের উত্তরকানী বাড়ীর কবির হোসেনের ছেলে রুবেলের সাথে একই এলাকার মনির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা চট্টগ্রামে থাকতো। কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বুধবার সকালে মনি চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী বাবার বাড়িতে এসে ঝগড়ার বিষয়টি চাচাদের জানায়। ওইদিন দুপুর ২টার দিকে মনির পরিবারের লোকজন একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রুবেলের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তারা রুবেলদের পরিবারের ফাতেমা বেগম (৭০), শার জাহান (৪৬), সাবিনা (২২), সুফল (২৪), সাহেদ (১২), দেলোয়ারা বেগম (৫২) ও লিমা আক্তার (২৪) পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন ক্লিনিকে ও আশংকাজনক অবস্থায় ফাতেমাকে রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। ফাতেমার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ফাতেমা বেগমের মৃত্যু হয়। পরে শুক্রবার সকালে লাশ নোয়াখালীতে নিয়ে আসলে দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সেনবাগ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনায় নিহতের নাতী সুফল হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার পরে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।