Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রিন্সিপাল সিরাজসহ ১৬ জনের ফাঁসি

মো. ওমর ফারুক ও মো. আকতারুজ্জামান ফেনী থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

নুসরাত নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালের শ্লীতাহানীর চেষ্টা নিরবে না সয়ে হয়ে উঠেছিলেন প্রতিবাদী। সেটিই কাল হয় তার। জীবন দিয়ে শোধ করতে হয় প্রতিবাদের মূল্য। একজন নুসরাতের মৃত্যু শোকে কাতর করে দেয় গোটা দেশকে। কষ্টের সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় মাত্র ৬ মাসে শেষ হল বিচারকার্য।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১০মিনিটে রায় পড়ে ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্টাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। আলোচিত নুসরাত হত্যার রায়ে ১৬ আসামির সবাইকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। মামলার কার্যক্রম শুরুর ৬১ কার্যদিবসের মধ্যে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় পড়ার শুরুতেই নুসরাত জাহান হত্যা মামলায় গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে বিচারক বলেন, মিডিয়ার কারণেই এই ভয়াবহ হত্যাকা-ের ঘটনা দেশবাসী জানতে পেরে সোচ্ছার হয়েছে।

প্রত্যাশিত এই রায়ের তারিখ পুর্বনির্ধারিত থাকায় রায় ঘোষণার পূর্বেই আদালত পাড়া লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এসময় দেশি বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা, স্থানীয় সংবাদকর্মী, আশপাশের বিভিন্ন জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং উৎসুক জনতা আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। এ রায়কে কেন্দ্র করে বুধবার রাত থেকে ফেনী কারাগার ও শহরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশি পাহারা জোরদার করা হয়।

এদিকে রায় শোনেই আসামিরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবেন বলে আসামিরা চিৎকার করে বলতে থাকেন। এসময় আসামিরা বাদীপক্ষের আইনজীবী ও সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। পরে পুলিশ পাহারায় আইনজীবীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর আদালতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আসামিপক্ষের স্বজনদের কান্নায় আদালতপাড়া সরগরম হয়ে যায়। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলাময়িা ফাজিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ-দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসনে শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়রে (২১), জাবের হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসনে (১৯), হাফজে আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে চম্পা/শম্পা (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতখোর উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসনে ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজলো আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমনি (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, মহামান্য হাকিম যে রায় দিয়েছেন তার রায়ের বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করতে চাইনা। তবে আমরা ন্যায় বিচার পাবার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করব।

রায় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি হাফেজ আহাম্মদ বলেন, এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। আদালত ১৬ জন আসামির সবাইকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন। এবং সে সাথে প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ রায়ে প্রমানিত হল দেশে অপরাধ করে কোন আসামি পার পায় না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, আমাদের উপর যে তদন্তের দায়িত্ব ছিল সেটা আমরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছি। এই রায়ে আমরা যে তদন্ত নিষ্ঠার সাথে করেছি তারই একটা প্রতিফলন ঘটেছে।

এ মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নুসরাতের পক্ষের প্রধান আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, ফেনীর নুসরাত রাফি হত্যা মামলায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্টাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রসিদ ন্যায় বিচারের রায় দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আল্লাহর নিকট আমরা শুকরিয়া আদায় করছি। প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে সাংবাদিক ভাইদেরকে ও ধন্যবাদ জানাই।

আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জাানিয়ে নুসরাতের বাবা একে এম মূসা বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমার মেয়েকে ফিরে পাবো না সত্যি। কিন্তু রায়ের ফলে অপরাধী সাজা পেলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। তাদের মৃত্যুদ- কার্যকর হলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করতে আর কেউ সাহস পাবে না।

নুসরাতের মা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য তার সাথে দেখা করতে চাই। তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমরা এখনো আতঙ্কিত অবস্থায় আছি। আমাদের বাড়িতে যেন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে, দ্রুত যেন রায় বাস্তবায়ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেবার জন্য আবারও তার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান। তিনি বলেন, সকালে রায়ের পরে এজলাসের ভিতরে আসামিরা আমাকে হুমকি দিয়েছেন। এটি খুবই দুঃখজনক। ফেনীর এসপি নুরুন্নবী স্যার আমাদের পাশে আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি গতকাল থেকেই পুলিশের ফোর্স বাড়িয়েছেন।

নুসরাত হত্যার রায় শুনতে আদালতে আসা উৎসুক জনতার মধ্যে করিমুল হক, হুমায়ুন কবির ও নাজমুল হক বলেন, এ রায়ের ফলে ফেনীবাসী কলঙ্ক মুক্ত হল। অপরাধীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করে আইনকে সমুন্নত করা হোক।

হাসতে হাসতে ঢুকে কাঁদতে কাঁদতে বের হলেন সিরাজ
নুসরাত জাহান ওরফে রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিরাজ উদ-দৌলা বৃহস্পতিবার সকালে আদালত প্রাঙ্গণে বেশ হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন। রায় ঘোষণার পর অবশ্য তাঁকে কাঁদতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, সকালে প্রিন্সিপাল সিরাজসহ এই মামলার ১৬ আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। প্রিজনভ্যান থেকে নামার সময় তিনি বেশ হাসি খুশি ছিলেন। হাসতে হাসতে তিনি আদালতের এজলাসে যান। রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত তিনি খোশমেজাজে ছিলেন।

তবে আদালতের রায় শুনে কাঁদতে শুরু করেন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ-দৌলা। রায়ের পর যখন তিনিসহ সব আসামিকে প্রিজনভ্যানে তোলা হয় তখনো তাকে কাঁদতে দেখা গেছে।

প্রিন্সিপাল সিরাজকে মারধর
মামলার রায় শোনার পর প্রধান আসামি প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ-দৌলাকে অন্য আসামিরা মারধর করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার ফাঁসির আদেশের পর সিরাজসহ ১৬ আসামিকে কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মামলায় ১৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশের পর কারাগারে নেয়ার সময় প্রধান আসামিসহ অন্যদের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তাদের কেউ কেউ কাঁদছিলেন। প্রিজনভ্যানে তোলার পর অন্যান্য আসামি সিরাজকে হঠাৎ করেই পেটাতে থাকেন। সে সময় তাকে বুকে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন।
প্রিন্সিপাল সিরাজকে মারতে মারতে এ সময় আসামিদের কেউ কেউ বলতে থাকেন, তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে। এ সময় আসামি মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন, মো. শামীম, প্রভাষক আফছার উদ্দিন, হাফেজ আবদুল কাদের কান্নায় চিৎকার করতে থাকেন। তারা বলতে থাকেন, আত্মহত্যাকে হত্যা বলা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে আসামিদের শান্ত করেন। এরপর প্রিজনভ্যান চলা শুরু করে কারাগারের দিকে।

এর আগে নুসরাত হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ- দৌলাসহ ১৬ আসামিরই মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত চত্বরে স্বজনদের আহাজারি, আসামিদের নির্দোষ দাবি :
মামলায় রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে আসামিদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। এ হত্যাকা-ের সঙ্গে তাদের সন্তান-স্বজনরা কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করেন তারা।

নুসরাত হত্যা মামলার আসামি নুর উদ্দিনের মা রাহেলা বেগম বলেন, প্রিন্সিপালের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আমার ছেলেকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়। মামলায় ৮৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের মধ্যে কোনো সাক্ষী আমার ছেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়নি। পিবিআই তিন ঘণ্টা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তার স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এ মামলার সঙ্গে আমার ছেলে কোনোভাবেই জড়িত নয়।
তিনি বলেন, আমরা অভাবি মানুষ। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমার ছেলেকে আমার কোলে ফিরে ফেতে চাই।

আরেক আসামি মো. শামীমের মা হোসনে আরা বেগম তার ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এ মামলায় শামীমকে ঘর থেকে ধরে এনে ফাঁসানো হয়েছে। কে ফাঁসিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা জানি না। নুসরাতের ঘটনার দিন আমার ছেলে আলিমের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পায়। এরপরও সে পরীক্ষায় অংশ নেয়। আমার ছেলে নিস্পাপ।

আবদুর রহিম শরীফের মা নুর নাহার বলেন, আমার ছেলে কোনোভাবেই নুসরাত হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত নয়। প্রিন্সিপালের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এ রায় মানি না। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আমার ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়িয়ে আনবো।
আসামি জাবেদ হোসেনের ভাই জাহেদ হোসেন, এমরান হোসেন মামুনের বাবা এনামুল হক ও কামরুন নাহার মনির মায়ের সঙ্গেও কথা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে উচ্চ স্বরে কেঁদে কেঁদে তারা এ মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করেন।

উল্লেখ্য চলতি বছরের ২৭ মার্চ মাদরাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা দায়ের করে নুসরাত। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ফেনীর কারাগারে প্রেরণ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিরাজ তার কয়েক ছাত্রকে নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ দেয়। স্থানীয় আ.লীগ সভাপতি রুহুল আমিন ও কাউন্সিলর মাকসুদের পরামর্শে গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা চলাকালীন মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে নুসরাতের সারা শরীর আগুনে দগ্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হয়ে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত জাহান রাফি। নুসরাত হত্যা মামলায় পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ-দৌলাসহ ২১ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে। পরে ২৮ মে ১৬ জনকে আসামি করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই।

৩০ মে মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১০ জুন আদালত মামলাটি আমলে নিলে শুনানি শুরু হয়। ২০ জুন অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত। ২৭ ও ৩০ জুন মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়। পরে জবানবন্দি, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শুনানির পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য্য করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক মামুনুর রশিদ।

 



 

Show all comments
  • Md Majid ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩৮ এএম says : 0
    যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ রায় কার্যকর করা হোক নাইলে আইনের অনেক ফাঁক আছে ওরা বাহির হয়ে চলে আসবে এমন ভাবে ফাঁসিতে ঝুলানো হোক জনসম্মুখে জাতি আর কখনো এমন কাজ না করে
    Total Reply(0) Reply
  • Yasin Arafat Redoy ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩৯ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ্‌, আশা করি এই রায় অপরিবর্তিত থাকবে এবং খুব দ্রুত মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Bayzid Mostofa ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪০ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে যে আইনের শাসন আছে তা আবারো প্রমাণিত হলো। মহামান্য আদালতের উপর আস্থা আছে। আশা করব চূড়ান্ত রায়ে ও এটা বহাল থাকবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sadiqur Rahman ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪০ এএম says : 0
    দ্রুত সময়ে ফাঁসি কার্যকর করা হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Tamanna Afroj ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪০ এএম says : 0
    ভালো কিছু শুনলাম অনেক দিন পরে ন্যায় বিচার হলো। ঠিক এই ভাবে বাকি সব হত্যা কান্ডের ন্যায় বিচার হলে এবং আইনের যথাযথ ব্যাবহার হলে সরকারের প্রতি জনগনের আস্থা ফিরবে আবারো।
    Total Reply(0) Reply
  • Sokal ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪১ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ। তবে নুসরাতের পরিবার কে যারা হুমকি ধামকি দিচ্ছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিৎ। ওসি মোয়াজ্জেমের কি হল সেটা তো জানিনা. !!
    Total Reply(0) Reply
  • Kabir Khan ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪১ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ। উচ্চ আদালতেও যেন এটা বজায় থাকে, দ্রুত রায় কার্যকর হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Shashanka Roy ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪২ এএম says : 0
    ঠিক রায় হয়েছে।এখন শুধু তাড়াতাড়ি কর্যকর হওয়া জাতি প্রত্যাশা করছে।এরকম রায় কার্যকর হলেই আমাদের সমাজে অপরাধ অনেক কমে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Firoz Ahmed ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪৩ এএম says : 0
    যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তাঁর শাস্তি জাহান্নাম, তাঁতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাঁর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তাঁর জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। [সূরা আন নিসা:- আয়াত 93]
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Nashar ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪৪ এএম says : 0
    Alhamdulillah, congratulations to Govt and court to completed as early as possible.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফাঁসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ