Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্দোলনের পেছনে ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছেন পাপন

সাকিবদের ১১ দফা দাবি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রায় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলল সংবাদ সম্মেলন। তাতে ক্রিকেটের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা হলো সামান্যই। ঘুরেফিরে বারবারই বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠে এলো ষড়যন্ত্রের

কথা। দেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করতেই ক্রিকেটার দিয়ে আড়ালে কেউ কলকাঠি নাড়ছে বলেই জানালেন বার বার। আর খুব শিগগিরই তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলেই জানালেন বিসিবি প্রধান।

আগের দিন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে সংবাদ সম্মেলন করে ১১ দফা দাবির কথা জানিয়েছিলেন দেশের প্রায় সব তারকা ক্রিকেটার। আর দাবি না মানা পর্যন্ত ক্রিকেটীয় সমস্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। বিসিবি প্রধানের এখানেই আপত্তি। দাবি তাদের কাছে না উপস্থাপন করে সরাসরি খেলোয়াড়দের ক্রিকেট বয়কট করাকে মানতে পারছেন না কিছুতেই। একটি বিশেষ মহল তাদের ব্যবহার করে দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন বলে দাবি করছেন তিনি। সেখানে ক্রিকেটারদের দু-একজন জড়িত আছে বলেও ধারণা পাপনের।

ক্রিকেটারদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরাসরি কিছু না জানালেও তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার দুয়ার খোলা আছে। ভারত সফর সময়মতো হবে বলেই আশাবাদ তার। তবে ক্রিকেটাররা যদি আগামীকাল থেকে নির্ধারিত জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে না খেলে এবং ভারত সফরের ক্যাম্পে যোগ না দেয়, তাহলেও নিজেদের করণীয় কিছু দেখছেন না বিসিবি সভাপতি। সেক্ষেত্রে ভারত সফর নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।

ক্রিকেটারদের ধর্মঘট নিয়ে গতকাল বিসিবিতে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় বসেছিলেন নাজমুল হাসান। সভার পর এক সুদীর্ঘ সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা বলেন তিনি। ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির অনেকগুলোই পূরণ করা হয়েছে বা হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি করেন বোর্ড প্রধান। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বিসিবি প্রধানের লম্বা বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় সংবাদ সম্মেলন। শুরুতেই নাজমুল হাসান বলেন, ক্রিকেটারদের ধর্মঘট তার বিশ্বাসই হচ্ছে না, ‘দাবি ওরা জানাতেই পারে। খুবই ন্যাচারাল। কিন্তু সেটির জন্য তারা স্ট্রাইকে গেছে, এটা এক্সট্রিমলি শকিং। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না, আমাদের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এমন কিছু হতে পারে। ওদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। আমার চেয়ে বেশি মনে হয় না কেউ যোগাযোগ রাখে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে সবকিছুতে কথা হয়। আমি তো বহুদূর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছেও ওদের অ্যাকসেস আছে। বলার কিছু থাকলে ওরা বলতে পারত।’

বিসিবি সভাপতির নিজের বক্তব্য ও নানা প্রশ্নের উত্তরে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের কথা, ‘ওরা তো চাইলেই পাবে, আসেনি কেন? আমাদের কাছে চাচ্ছে না কেন? ফোন ধরছে না। সবকিছুর পেছনে কারণ আছে। আমাদের কাছে না গিয়ে মিডিয়ায় বলেছে, সেটির পেছনে বিশেষ কারণ আছে। আমাদের সুযোগ না দিয়ে মিডিয়ায় গিয়েছে। এটি বিশেষ একটি পরিকল্পনার অংশ। পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। একজন লোকই আছেন, যিনি বারবার এসব করছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে। এই ষড়যন্ত্রের কথা সরকার থেকে শুরু করে সবাই জানে। সব ক্রিকেটার এটির সঙ্গে জেনে শুনে জড়িয়েছেন বলে মনে হয় না। ১-২ জন জানতে পারে। এই মুহূর্তে বের করা দরকার, কারা এই কাজ করছে। কিছুদিনের সময় চাচ্ছি আপনাদের কাছে। সব বের করে ফেলব।’

মাঠের ক্রিকেট নিয়ে মূল প্রশ্ন ছিল দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ড ও ভারত সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পের নির্ধারিত সময় নিয়ে। বিসিবি সভাপতির কথায় আশা ও শঙ্কা, দুটির জায়গাই থাকল, ‘খেলোয়াড়রা না খেললে খেলবে না! আমাদের কিছু করার নেই। ওরা ক্যাম্পে গেলে ভালো, না গেলে যাবে না। ক্রিকেটারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা নিজেরাও জানে না। ২-১ জন জানতে পারে। আমার দুয়ার ওদের জন্য খোলা। ওরা যদি আমার কাছে আসে, অবশ্যই কথা হবে। আমি তো কথা বলতেই চাই। আমি আশা করি ক্যাম্প চলবে, ভারত সফর হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ