Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাদ্য সঙ্কটের দিকে রাঙ্গামাটির পানিতে ভাসা জমির কৃষকরা

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা : খাদ্য সঙ্কটের দিকে যাচ্ছে রাঙ্গামাটি জেলার জলে ভাষা জমির প্রান্তিক কৃষকরা। কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ সময় মতো না কমানোর ফলে জলে ভাষা জমিতে চাষাবাদ শুরু করতে পারেনি। চাষিরা। সরকারি হিসাব মতে রাঙ্গামাটি জেলার প্রায় ৪০০ একর পানিতে ভাসা জমি এখনো কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে আছে। হ্রদের পানি কমার সাথে সাথে এই জমিতে চাষাবাদ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার বিশাল অংশ জুড়ে পানিতে ভাসা জমির অবস্থান। এই জমি গুলো হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকায় স্থানীয় কৃষকরা দূর্ভোগে পড়েছেন। হ্রদের পানি না কমার কারণে চাষীরা জমিতে বীজ তলাও করতে পারছে না। দেরীতে হ্রদের পানি কমে গেলে চাষাবাদ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হবে। তারা জানান। চাষাবাদ দেরীতে শুরু হলে ফসল ঘরে তোলার সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের পড়তে হবে। তাই যত সম্ভব হ্রদে পানি কমাতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
গত ২৮ জানুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা নদী রক্ষা কমিটির প্রথম সভায় রাঙ্গামাটি জেলায় ৪০০ একর জলে ভাসা জমি হ্রদের পানিতে ডুবে আছে বলে তথ্য উপস্থাপন করেন রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা তপন কান্তি পাল।
তথ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে তপন কান্তি পাল বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ভাসা জমির উপর রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা নির্ভরশীল। জলে ভাসা জমি থেকে পার্বত্য অঞ্চলের খাদ্য শস্য উৎপাদনের একটি বড় মাধ্যম। এই ওই জমি যদি হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকে এবং দেরীতে জেগে উঠে তখন চাষাবাদ ব্যাহত হয়। জমি দেরীতে জেগে উঠলে চাষাবাদও দেরীতে শুরু হয় এবং বর্ষার কবলে পড়ে যায়। তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদের সাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। কিন্তু গত বছর এবং এর আগেও এই হ্রদে পানি ছিলো বর্তমান অবস্থায় ৭৮ এম,এস,এল। হ্রদের পানি আরেকটু কমানো গেলে প্রান্তিক কৃষকরা চাষাবাদ করতে সক্ষম হবে।
এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক বলেন, হ্রদের পানি ধরে রাখা খুবই জরুরী। শুস্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে গেলে চাষাবাদ যেমন ব্যাহত হবে তেমনি যোগাযোগ সুবিধাও কমে আসবে। তিনি বলেন, বর্তমানে হ্রদের পানি ধরে রেখে শুস্ক মৌসুমে যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় তার ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে চাষাবাদ কিছুটা ব্যাহাত হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন বলেন, আগামীতে হ্রদের পানি ও ধরে রাখতে হবে চাষাবাদও করতে হবে এই নিয়ে কি করা যায় তার প্রস্তাব দেয়ার জন্য কমিটির সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাদ্য সঙ্কটের দিকে রাঙ্গামাটির পানিতে ভাসা জমির কৃষকরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ