Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস হয় না ৫১ দিন

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম


বিভাগ পরিবর্তনের দাবিতে মুখোমুখি পাবিপ্রবির দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠায় আশঙ্কায় বড় কোন সংঘর্ষের।
ইটিই (ইলেক্ট্রনিক্স টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৫১ দিন ধরে ক্লাস করেছে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে, ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মিথ্যাচার এবং অযৌক্তিক আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যর বিরুদ্ধে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ, মানববন্ধন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য বিভাগের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।

দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা যে কোন সময় মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম. রোস্তম আলী, বিঅগের ডীন, প্রক্টর এবং ছাত্র প্রতিনিধি শিক্ষক এখনও কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। দুইটি বিভাগের ক্লাস বর্জনের কারণে অন্যান্য বিভাগেও লোখাপড়া বিঘিœত হয়ে পড়েছে। এক ধরণের নৈরাজ্যকর অবস্থা চলছে।

জানা যায়, ইটিই বিভাগের শিক্ষাথীরা বলেছেন, ট্রিপলি বিভাগের সাথে তাদের সাবজেক্টর তেমন কোনো অমিল নেই। ইইই সাথে একিভূত করা হলে কোনো অসুবিধা হবে না। শিক্ষার্থীরা শুধু ইটিই বিভাগে থাকলে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের জোরালো দাবি তাদের ট্রিপলি বিভাগে একিভূত করার।

অপরদিকে, ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কথা মানতে চাইছেন না। বাস্তবতা হলো, ইটিই বিভাগ শিক্ষার্থীরা অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। কিন্তু একিভূত করা হলে কোনো ক্ষতি হবে না। ইটিই শিক্ষার্থীরা প্রায় একই বিষয়ে পড়াশোনা শেষে সকল ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাবেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্রে কোনো সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না বলে অভিমত অভিভাবকদের।

ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান এবং প্রকৌশল অনুষদের ডীন শেখ রাসেল আল আহমেদ ও সাইফুল ইসলামকে দুষছেন এক পক্ষের শিক্ষার্থীরা। অনুষদের ডীন শেখ রাসেল আল আহমেদ ছাত্রদের ক্লাসে না ফেরার পরামর্শ দিয়ে নিজেই রুমে বসে থেকে অবরুদ্ধ হওয়ার নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, রাসেল আহমেদ ইতোপূর্বে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে প্রকৌশল অনুষদের ডীন হন। আন্দোলন নিয়ে বিগত ৭ই সেপ্টেম্বর জাতীয় টিভি ও পত্রিকায় তিনি মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় ও লাল কার্ড প্রদর্শন করেন।

 



 

Show all comments
  • Ifty ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:২৮ পিএম says : 0
    কিছু অতিরিক্ত ক্রেডিট আওয়ার করিয়ে ইটিইদের ইইই মাইনর সহ জয়েন্ট সার্টিফিকেট দিলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। সিএসই, ইইই, ইটিই এরা একে অপরের ক্রেডিট আওয়ার শেয়ার করে এক বা একাধিক মাইনর সহ জয়েন্ট ডিগ্রী নিতে পারেন। সভ্য দেশ গুলিতে এই সুযোগ দেওয়া হয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাবনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ