মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) আরও বিলম্বিত করার অনুরোধ জানিয়ে স্বাক্ষরবিহীন একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।পাশাপাশি নিজের সই করা আরেকটি চিঠিতে তিনি এটাও লিখেছেন, ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়া হবে একটি ‘ভুল’ পদক্ষেপ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিজের করা ব্রেক্সিট চুক্তি শনিবার পার্লামেন্টের ভোটে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পর ইইউয়ের কাছে এসব চিঠি পাঠান জনসন। ব্রেক্সিটের জন্য নির্ধারিত ৩১ অক্টোবরের চ‚ড়ান্ত সীমা পেছানোর জন্য ‘মরে গেলও’ তিনি কোনো অনুরোধ করতে পারবেন না বলে এর আগে জানিয়েছিলেন জনসন। কিন্তু গত মাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদের পাস করা একটি আইন অনুযায়ী ব্রেক্সিটের চ‚ড়ান্ত সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি (২০২০) পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ইইউয়ের কাছে চিঠি পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ইইউয়ের সঙ্গে নিজের করা ‘বিচ্ছেদ’ চুক্তি শনিবার পাস করানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ব্রিটিশ এমপিরা উদ্যোগটি ব্যর্থ করে দেয়। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে জনসন মোট তিনটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে ব্রিটিশ সরকারের একটি স‚ত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। এরমধ্যে একটি বেন অ্যাক্ট নামের সেই আইনের ফটোকপি যা জনসনকে চিঠি লিখতে বাধ্য করেছে; দ্বিতীয়টি, ব্রিটিশ সরকার শুধু এ আইন অনুযায়ী কাজ করছে এমনটি জানিয়ে ইইউতে নিযুক্ত ব্রিটিশ দ‚তের পাঠানো একটি নোট এবং তৃতীয় আরেকটি চিঠি যেটিতে জনসন জানিয়েছেন তিনি সময় আর বাড়াতে চান না। তৃতীয় যে চিঠিটি জনসন পাঠিয়েছেন সেটি টুইটারে প্রকাশ করেছেন ফিনান্সিয়াল টাইমস ব্রাসেলসের প্রতিনিধি। ওই চিঠিতে জনসন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আমি বলে আসছি এবং আজ পার্লামেন্টকেও বলেছি, আমার দৃষ্টভঙ্গী ও সরকারের অবস্থান হচ্ছে, সময় আরও বাড়ালে যুক্তরাজ্য ও আমাদের ইইউ অংশীদারদের স্বার্থ এবং আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।” রয়টার্সের অপর এক খবরে বলা হয়, ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে শনিবার লাখো মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে লন্ডনের রাজপথ। আয়োজকরা বলছেন, এদিনের কর্মস‚চিতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এ বিক্ষোভকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভগুলোর একটি হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। এতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতে তারা চ‚ড়ান্ত বা শেষ কথা বলতে চান। দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সেই সুযোগ দিতে হবে। আয়োজক সংস্থা ‘পিপলস ভোট’-এর একজন মুখপাত্র বলেন, এই বিক্ষোভ ব্রিটিশ ইতিহাসে জনগণের বৃহত্তম প্রতিবাদ কর্মস‚চিতে পরিণত হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান, ছায়া ব্রেক্সিটমন্ত্রী স্যার কেইর স্টার্মার, ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়ানে অ্যাবট, ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিলি এমিলি থর্নবেরি, ছায়া চ্যান্সেলর জন ম্যাকডনেল প্রমুখ। স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে পার্ক লেন থেকে পার্লামেন্ট স্কয়ার অভিমুখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আন্দোলনকারীরা। ইন্ডিপেনডেন্ট, রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।