বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালে সরকারি বিএম কলেজের ৩টি ছাত্রাবাসে শনিবার রাত ১১টার পর পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়েছে কলেজ প্রশাসন। কলেজ প্রিন্সিপাল অধ্যাপক শফিকুর রহমান সিকদারের নেতৃত্বে অভিযানের পর একটি ছাত্রাবাসের ৩টি কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছেন কতৃপক্ষ। কলেজের অশ্বিনী কুমার হল, ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল মুসলিম হল ও কবি জীবনানন্দ দাশ হল বা হিন্দু ছাত্রাবাসে মাদকসেবী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অবস্থান করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালায়, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালান হয় বলে জানা গেছে।
অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির সাংবাদিকদের জানান, ঐ ৩টি ছাত্রাবাসের একাধিক কক্ষ দখল করে বহিরাগতরা মাদক ও জুয়ার আসর বসায় এমন অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার রাত ১১ টা থেকে ২টা পর্যন্ত কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় অশি^নী কুমার ছাত্রাবাসটির এ ব্লকের ৩০১ ও ৩১০ এবং বি ব্লকের ২১৫ নম্বর কক্ষে কাউকে পাওয়া যায়নি। সে কারনে তাৎক্ষনিক ওই তিনটি কক্ষ সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
তবে অন্য দুটি হলের কোন কক্ষে আপত্তিকর কোনকিছু পাওয়া যায়নি বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। কলেজ প্রিন্সিপাল অধ্যাপক শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, ওই তিন ছাত্রাবাগুলোর বিভিন্ন কক্ষে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। তিনটি ছাত্রাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় কোন প্রকার বিঘœ না ঘটে এবং প্রভাব খাটিয়ে কেউ ছাত্রাবাসের কোন কক্ষ দখল নিতে না পারে।
এদিকে বিএম কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের ৩০১ নম্বর কক্ষ দখল করে কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতা মাদক ব্যবসা চালাতেন। ২১৫ নম্বর কক্ষটি দখলে রেখেছিলেন জেলা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি। ২১৫ নম্বর কক্ষটিতে মাদকের আড্ডা ও জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। অপরদিকে ফজলুল হক ছাত্রাবাস ও জীবনানন্দ ছাত্রাবাসেরও একাধিক কক্ষ কথিত ছাত্রলীগ নেতাদের দখলে থাকার অভিযোগ ছিল।
তবে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের পর সারা দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রাবাসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করলে বিএম কলেজের ওই তিন ছাত্রাবাসের কক্ষগুলোর দখল ছেড়ে দেন কথিত ছাত্রলীগ নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।