পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিজিবির তথ্যমতে পতাকা বৈঠকের অপেক্ষা না করে তারা (বিএসএফ) আটক জেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল। আর তখনই এই গোলাগুলির ঘটনা। এতে একজন বিএসএফ সদস্য মারা যান। বিজিবি মহাপরিচালক ও বিএসএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলাপের মাধ্যমে এর একটা সুরাহা হবে। বিষয়টি নিয়ে বাহিনী দুটির প্রধান পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। মন্ত্রী বলেন, এটা একটা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে চমৎকার একটা সম্পর্ক রয়েছে। হঠাৎ করে এই দুর্ঘটনাটা আমরা সবাই মর্মাহত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন- আমাদের মাছ ধরার জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিজিবি ও মৎস্য অধিদফতর যৌথ টহল দিচ্ছিল, সেই সময় তারা দেখে একটা নৌকায় করে কিছু সংখ্যক জেলে মাছ ধরছে। তাদের চ্যালেঞ্জ করলে জানা যায়, তারা ভারতীয় জেলে। তাদেরকে যখন আটক করা হয় তখন তাদের কয়েকজন বিএসএফকে খবর দিলে বিএসএফ সেখানে চলে আসে। সেখানেই ভুল বোঝাবুঝি হয়।
এর আগে দু’জন র্যাব সদস্যকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সেখানে র্যাব টহল দিতে গিয়ে ভুলে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে গিয়েছিল। সেজন্যই ওই ঘটনা ঘটেছিল। বিএসএফ তাদের দু’জনকে চোখ বাঁধা এবং আহত অবস্থায় আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেটাও একটা মিটিংয়ের মাধ্যমে সুরাহা হবে।
আবরার হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বারবার বলেছি আমরা খুব শিগগিরই একটা নির্ভুল চার্জশিট দেবো। যাতে করে বিচার বিভাগের কাছে কোনও প্রশ্ন না থাকে। একটা নির্ভুল চার্জশিট দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের সময় ভারতীয় এক জেলেকে আটক করাকে কেন্দ্র করে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বিএসএফের এক সদস্য নিহত ও আরেক সদস্য আহত হন। ওই ঘটনার ব্যাখ্যায় বিজিবি বলছে, বিএসএফ সদস্যরা জোরপূর্বক আটক জেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা প্রদান করেন। বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে ফায়ার করে এবং ফায়ার করতে করতে স্পিডবোট চালিয়ে ভারতের দিকে চলে যেতে থাকে। তখন বিজিবি টহল দল আত্মরক্ষার্থে ফায়ার করলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।