পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী নেতৃবৃন্দ। গতকাল বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য ভারতের হস্তক্ষেপ চাচ্ছে তারাই বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসনকে উস্কে দেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার দায় মুসলমানদের ঘাড়ে বর্তাতে চাচ্ছে। তারা বলেন, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের ধর্মগুরুকে তার ধর্মপ্রচার বন্ধ না করলে কুপিয়ে হত্যা করা হবে বলে যে হুমকি দেয়া হয়েছে, তাতে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী বলেছেন, ইসলাম ধর্ম অন্য সকল ধর্মের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপে বিশ্বাসী নয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দুদের ধর্মীয় কার্যক্রম চলে আসছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে হিন্দু ধর্ম প্রচার না করার যে হুমকি দেয়া হয়েছে তার মাত্র ২-৪ দিন পূর্বে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহাসচিব রানা দাসগুপ্ত ও অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ কামনা করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন। সুতরাং এটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, তাদের এ হস্তক্ষেপ কামনার অর্থ বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসন চালানো। এমনি পরিস্থিতিতে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের ধর্মগুরুকে হত্যার হুমকির দিয়ে মোদির হস্তক্ষেপের পরিবেশ তৈরির চক্রান্ত আছে বলে আমরা মনে করি।
রানা দাশগুপ্ত গংরা দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশের ভারতীয় আগ্রাসনের জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে আসছে। এই পরিস্থিতিতে এটা বলা অপ্রাসঙ্গিক নয় যে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে হত্যার হুমকি দিয়ে ভারতীয় আগ্রাসনকে তারা উস্কে দিতে চাচ্ছে। তাই রামকৃষ্ণ মিশনের ধর্মগুরুকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পেছনে যে যোগসূত্র রয়েছে, তা খুঁজে বের করে তাদেরকে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী বলেছেন, এদেশে ভারতের আগ্রাসনের ক্ষেত্র প্রস্তুতির কঠিন চক্রান্ত চলেছে। আর এ লক্ষ্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ প্রায়ই উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে চলছে। রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে হত্যার হুমকি তারই ধারাবাহিকতার অংশ বলে মনে করা যেতেই পারে। রানা দাশগুপ্ত ও পীযূষ গংরাই সম্প্রতি এদেশে হিন্দুদের সুরক্ষায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিল। একই লক্ষ্যে উস্কানি সৃষ্টি করতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খিৃস্টান ঐক্য পরিষদের কেউ কেউ রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে হত্যার হুমকি দিয়ে থাকতে পারে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এবিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক এবং শক্ত হাতে কাজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
খেলাফত আন্দোলন
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাব বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে এক ইফতার পার্টি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ ইসমাইল হোসাইন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি, আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক, উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এস এম কামাল হোসেন, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমিনুল ইসলাম আমিন, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাও. মুফতি তাজুল ইসলাম ফারুকী, মহাসচিব, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলায় সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও মওদুদীবাদী জামায়াত শিবিরের কোন স্থান নেই। যারা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করেছিল, হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছিল, হাজার হাজার মা-বোনদেরকে গণিমতের মাল বলে তাদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল সেই সকল চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত কার্যকর করতে হবে। বাংলার জমিনে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কোন স্থান নেই। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অরাজকতা সৃষ্টিকারীরা প্রকৃত মুসলমান নয়। দেশের কিছু কুচক্রী মহল সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখসহ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল দেশবাসীকে প্রতিহত করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাও. মোঃ নুরুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক, এ এস এম আরিফুর রহমান সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদকসহ আলহাজ মোঃ শাহীন খান, মাও. আব্দুর রাজ্জাক, মুফতি কামাল উদ্দিন, মুফতি মাসুদুর রহমান, মাও. জয়নুল আবেদীন, হাজী মোঃ সোলায়মান, হাজী মোঃ মুকুল শিকদার, মোঃ মোস্তফা চৌধুরী, মোঃ আবুল খায়ের মজুমদার, মাও. আব্দুল মোমেন, হাফেজ মাও. মোশাররফ হোসেন, মোঃ শেখ শোয়াইব, মোঃ এমরান, হাফেজ মাও. মাবুবুর রহমানসহ প্রমুখ ওলামায়ে কেরামগণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।