পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্র নেই বলেই জঙ্গিবাদের উত্থান -ড. খন্দকার মোশাররফ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটছে। উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি সব সময়ই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির এ প্রতিনিধি দল রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার তরফ থেকে তারা এ মিশন পরিদর্শন করেন। মিশন কর্তৃপক্ষ ও মহারাজের সাথে সাক্ষাৎকালে বিএনপি বরাবরের মতো তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জঙ্গি সংগঠন আইএস পরিচয়ে সম্প্রতি হুমকি দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ পরিদর্শন বলে দলটির তরফ থেকে জানানো হয়।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেনÑ স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জয়ন্ত কুমার কুন্ড, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুবদল নেতা অমেন্দ দাস অপু। বিএনপির এই প্রতিনিধি দলটি রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ মহারাজসহ মিশনের অন্যান্য মহারাজদের সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন। মিশনের অধ্যক্ষ বিএনপির প্রতিনিধিদলকে জানান, সম্প্রতি আইএস পরিচয়ে চিঠির মাধ্যমে তাদের ধর্ম পালন না করতে হুমকি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে দেশ ছাড়ার জন্যও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল তাদের খোঁজ-খবর নিতে আসা এবং তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ প্রতিনিধি দলটিকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
এ সময় প্রতিনিধি দলটির নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান, দেশের জনগণ বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি বিএনপিও এতে অত্যন্ত চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। বিষয়টি উপলব্ধি করে খালেদা জিয়ার নির্দেশে মিশনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আমরা এখানে এসেছি। আমরা এ হুমকির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা মিশনের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারে থাকতে যেমন পাশে ছিলাম, তেমনি এখনও রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে আমরা আছি, সেটা তাকে অবহিত করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা এখানে আসায় স্বামীজী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, খুশি হয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু রামকৃষ্ণ মিশন নয়, যেখানেই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে সে সবের অনেক জায়গাতেই আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি গেছে, তাদেরকে সমবেদনা জানিয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন, কোনো হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটলেই সরকার ব্লেইম গেম শুরু কওে দেয়। নিজেদের ব্যর্থতা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে প্রকৃত অপরাধীদের না ধরে বিএনপির ওপর এর দায় চাপায়। এ থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি দাবি করেনÑ বিএনপি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সব সময় আমাদের অবস্থান। সুতরাং সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাকা-গুলোর সঙ্গে বিএনপি কোনোভাবেই জড়িত নয়।
হুমকি মোকাবেলায় ব্লেইম গেম না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, জঙ্গিবাদ ও গুপ্তহত্যা মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার পাশাপাশি দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন, যেটা এখন অনুপস্থিত।
তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার অবৈধ। যার কারণে দেশে গণতন্ত্র নেই। আর গণতন্ত্র না থাকার কারণেই দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বিরোধী দলের উপর মিথ্যা দোষ না দিয়ে বরং এ সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। আর একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনলে সব সমস্যার সমাধান হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কিছু লোককে টার্গেট করে হত্যা করছে। সরকার বিরোধীদল দমনে ব্যস্ত থাকায় জঙ্গিরা ধরাছোঁয়ার বাইওে থেকে যাচ্ছে। তারা একের পর এক মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। অথচ সরকার কোনো তদন্ত না করেই বিরোধী দলের উপর দোষ দিচ্ছে।
প্রতিনিধি দলের বাইরেও ছিলেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা তরুণ দে, তপন কুমার বসু (মিন্টু), ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি সঞ্জীব কুমার দেব জনি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।