বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বড়াল নদীর পদ্মার মোহনায় পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার সময় প্রনব মন্ডল নামে ভারতীয় জেলেকে আটককে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আসিফ বুলবুল সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় একজন জেলে তাদের কাছে আটক রয়েছে। বিজিবি-বিএসএফ গুলিবিনিমিয় হয়েছে। এদিকে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে চারঘাট থানার ওসি সমিত কুমার জানান, বিকেল ৪টার বৈঠক এক ঘন্টা বিএসএফ পিছিয়ে দেয়। বিএসএফের একজন জওয়ান মারা গেছে বলে তারা এক ঘন্টা বৈঠক পিছিয়ে দেয়। তবে তারা সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন।
পদ্মায় মাছ ধরা প্রতিরোধ অভিযানে থাকা চারঘাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রজনন মৌসুমের জন্য এখন নদীতে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ অবস্থায় জেলেরা যেন নদীতে ইলিশ শিকার করতে না পারে সে জন্য বিজিবি সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে অভিযানে যায়। তারা দেখেন, পদ্মা-বড়ালের মোহনায় বাংলাদেশের সীমানার ভেতর একটি নৌকায় করে তিনজন ভারতীয় জেলে ইলিশ শিকার করছেন।
তিনি বলেন, তারা গিয়ে তাদের আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় দুইজন পালিয়ে যান। আর একজনকে আটক করা সম্ভব হয়। এ সময় পালিয়ে যাওয়া জেলেরা গিয়ে বিএসএফকে বিষয়টি অবহিত করে। বিএসএফ সদস্যরা এসেই গুলি ছোড়ে। বিজিবিও এর প্রতিবাদ জানিয়ে গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটে। এ ঘটনার পর প্রনব মন্ডল নামের একজন ভারতীয় জেলেকে আটক করে বিজিবির চারঘাট করিডর সীমান্ত ফাঁড়িতে আনা হয়। জব্দ করা হয়েছে তার ইলিশ শিকারের জালও।
এদিকে গোলাগুলির ঘটনায় বিএসএফের এক জওয়ানের মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। ভারতের জি-২৪ ঘন্টার খবরে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির চর পাইকমারির জিরো পয়েন্টে বিএসএফ-এর সঙ্গে বিজিবি-র গুলির লড়াই। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের। মৃতের নাম বিজয় ভান। আহত হয়েছেন আরও একজন। আহত জওয়ানের নাম রাজবীর সিং। তিনি বিএসএফ-এর হেড কনস্টেবল। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, পদ্মা নদীর এই অংশটিতে প্রায়শই ভারতীয় জেলেরা এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফও স্পিডবোর্ট নিয়ে টহল দেয়। এদের হাতে নাজেহাল হয় বাংলাদেশী জেলেরা। নদী তীরবর্তী মানুষের অভিযোগ ভারতীয় জেলে আর বিএসএফের দাপটে তারা তটস্থ থাকেন। এলাকাবাসী জানান পালিয়ে যাওয়া ভারতীয় জেলেদের কথা শুনে এক তরফাভাবে বিএসএফ এসে গুলি বর্ষন শুরু করে। বাধ্য হয়ে বিজিবি পাল্টা গুলি বর্ষন শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়। এনিয়ে সীমান্ত এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।