Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অধ্যক্ষের নির্দেশে অর্থ আদায়

প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর তানোরের তালন্দ লোলিত মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায় ও খাতা বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকদের চাঁদাবাজির খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক মহলে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, তারা অধ্যক্ষের নির্দেশে এসব টাকা আদায় করছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র খরচ ও বিভিন্ন কর্মকর্তা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে আসলে অনেক টাকা খরচ হয়, আর সেসব খরচের টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষায় কিছু টাকা নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, তানোরের তালন্দ লোলিত মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বিষয়ে খাতা বাবদ ১০০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে ৩০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর ধার্যকৃত টাকা না দিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকিসহ ব্যবহারিক পরীক্ষায় স্বাক্ষর না করার অভিযোগও রয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। তালন্দ লোলিত মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রতিটি পরীক্ষার্থীর কাছে এভাবে শিক্ষকরা চাঁদাবাজি করছেন। তালন্দ গ্রামের বাসিন্দা ও অভিভাবক হামিদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার বোনের মেয়েকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতি বিষয়ে ৩০০ টাকা করে নিয়েছেন শিক্ষক। অভিভাবক মামুনুর অর রশিদ বলেন, সরকার শিক্ষকদের এতো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরেও ব্যবহারিক পরীক্ষায় শিক্ষকদের চাঁদাবাজি অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জাজনক ঘটনা। এ ব্যাপারে তালন্দ লোলিত মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অধ্যক্ষ বিষ্ণুপদ সরকার বলেন, তিনি কোনো শিক্ষককে টাকা নিতে বলেননি, তার পরেও কেউ টাকা নিলে সে দায় তার নয়। তিনি বলেন, দেশের সব বেসরকারি কলেজেই ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেয়া হয়, তাহলে শুধু তার কলেজের নাম আসছে কেন? এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অধ্যক্ষের নির্দেশে অর্থ আদায়
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ