Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন টুর্নামেন্ট নিয়ে ভারত-আইসিসি দ্বন্দ্ব

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:২০ এএম

আরেক দফা দ্বন্দ্বের সম্মুখীন আইসিসি ও বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আপত্তির মুখেই ভবিষ্যৎ সূচির পরবর্তী চক্রে টুর্নামেন্ট বাড়াচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। দুবাইয়ে পরশু আইসিসির সভায় অনুমোদন পেয়েছে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বাড়ানোর প্রস্তাব। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকৈ শুরু হবে এই চক্র। চলবে ২০৩১ সাল পর্যন্ত।

আইসিসির নতুন এই ৮ বছরের চক্রে প্রতি বছরই থাকছে একটি করে টুর্নামেন্ট। ৫০ ওভারের দুটি বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চারটি। সেই সঙ্গে বাড়তি দুটি আসর যুক্ত হবে এই চক্রে। সেই টুর্নামেন্ট দুটি ৫০ ওভারের সংস্করণেই হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সীমিত ওভারের দুই সংস্করণের বিশ্বকাপের পাশাপাশি আগে ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। নতুন এই টুর্নামেন্ট দুটি হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘরানারই। তবে আরও ছোট পরিসরে। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৬ দলকে নিয়ে হতে পারে সেই টুর্নামেন্ট। ছেলেদের এই ৮টি টুর্নামেন্টের পাশাপাশি থাকছে মেয়েদের ৮টি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ছেলে ও মেয়েদের চারটি করে টুর্নামেন্ট।

তবে ছেলেদের টুর্নামেন্টে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ গওয়ার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে আগেই আপত্তি জানিয়ে রেখেছে ভারত। নতুন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট যুক্ত হওয়া মানে নিশ্চিতভাবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচিতে তা প্রভাব ফেলবে। সব দলেরই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কমে যাবে কিছুটা হলেও। আর দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো থেকে ভারতের আয় অনেক অনেক বেশি। নতুন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট থেকে আইসিসির রাজস্ব বাড়লেও তাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বিসিসিআই।

বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নেয়ার আগেই এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, আইসিসিতে ভারতীয় বোর্ডের রাজস্ব অবদানের ব্যাপারটি আবার তিনি খতিয়ে দেখবেন। আইসিসির রাজস্বের ৭০ ভাগই আসে ভারত থেকে। তাই নিজেদের প্রাপ্যটা বুঝে নেবে ভারতীয় বোর্ড।

আইসিসির প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহীর একটি ই-মেইলে ভারতীয় বোর্ড তাদের প্রবল আপত্তির কথা জানিয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

আইসিসির টুর্নামেন্ট বাড়লে তাই আইসিসি থেকে রাজস্ব বেশি পাওয়ায় আপত্তি থাকার কথা নয় অন্য বোর্ডগুলোর। কিন্তু ভারতের প্রতিটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজই দারুণ লাভজনক। ভারতের আপত্তির কারণও তাই বোধগম্যই। তাই আবার মুখোমুখি অবস্থানে আইসিসি ও বিসিসিআই।

কেটে গেল অনিশ্চয়তা। ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষেদ্ধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও আইসিসির সদস্যপদ ফিরে পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। পরশু দুবাইতে অনুষ্ঠিত আইসিসির বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আগামী জানুয়ারিতে হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং পরবর্তীতে আইসিসি সুপার লিগে অংশগ্রহণে আর কোন বাধা থাকছে না আফ্রিকার দেশটির।

একই দিনে শর্তসাপেক্ষে সদস্যপদ ফিরে পেয়েছে নেপালও। তাদের নিষেধাজ্ঞা ছিল আরও লম্বা সময়ের। বোর্ড পরিচালনায় সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারায় ২০১৬ সালে তাদের বহিস্কার করেছিল আইসিসি। কিন্তু তার পরদিনই নেপালের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পরশ খাড়কা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ