বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ, সমুদ্র সীমা ব্যাবহার, ট্রানজিট পাস, সীমান্ত বাণিজ্য ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) রিজিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০.১৫ টায় টেকনাফের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ‘সেন্ট্রাল রিসোর্ট’ এর সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি জানায়, বৈঠক অংশ নিতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিং টু এর নেতৃত্বে সেদেশের ১৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল সোমবার ১৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে পৌঁছায়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতিনিধিরা তাঁদেরকে ফুল ও গিফট দিয়ে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানান। সেখানে থেকে সেন্ট্রাল রিসোর্টে গিয়ে বিজিপি দল পতাকা বৈঠকে যোগ দেয়। বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান।
বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক, মাদক, চোরাচালান, সমুদ্র সীমা ব্যাবহার, ট্রানজিট পাস, সীমান্ত বাণিজ্য ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
পতাকা বৈঠকে টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান, কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহামেদ, রামু ৩০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদুর রহমান ও টেকনাফ ২ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর রুবায়াৎ কবীরসহ অনেকেই উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন।
টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান বৈঠকের মিয়ানমারের বিজিপি প্রতিনিধি দলকে বিদায় দিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ চলতি বছরে ২১ জানুয়ারি মিয়ানমারের মংডু শহরে এ ধরনের রিজিয়ন পর্যায়ের প্রথম পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময় কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠানের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট বিজিবি প্রতিনিধিদল সে পতাকা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘুরে গেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম।
মূলত সীমান্তের সুরক্ষা ও চোরচালান রোধে সরকার নতুন করে দ্বীপে বিজিবি’র একটি চৌকি স্থাপনার উদ্যোগ নেয়। এই চৌকিকে ঘিরে প্রথমবারের মতো পরিদর্শনে এসেছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।