Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছেত্রীর ভারতকে ঠেকাতে প্রত্যয়ী রানা

| প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম


কাতারের বিপক্ষে ‘চীনের প্রাচীর’ হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। বাংলাদেশের রক্ষনের অতন্দ্র প্রহরী আগামীকাল ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটিকে দেখছেন অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে। বহুল প্রতীক্ষীত সেই ম্যাচে ভালো খেলার উপরই জোড় দিলেন রানা। নিজেদের দিনে ভালে খেললে জয় পেতে পারে যে কোন দল বলে মনে করেন আত্মবিশ্বাসী এই গোলরক্ষক, ‘ফুটবলের কথা আগাম কেউ বলতে পারে না। নির্দিষ্ট দিন যে ভাল খেলবে, তার জন্যই শেষ হাসি তোলা থাকবে।’
নিজে গোলরক্ষক হওয়ায় প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক সম্পর্কেও শ্রদ্ধা উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। ভারত-কাতার ম্যাচেও পাখির চোখ ছিল তার, ‘ভারত-কাতার ম্যাচটা খুব ভাল করে দেখেছি। সে দিন গুরপ্রীত অসাধারণ খেলেছিল। দিনটা সব অর্থেই ছিল তার। দারুণ পজিশন জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছিল। কাতারের একের পর এক আক্রমণ গুরপ্রীতের হাতে এসে থেমে গিয়েছিল সে দিন। দুটো উইং থেকে যে বলগুলো ভাসানো হয়েছিল, সে গুলোও অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচিয়েছিল গুরপ্রীত। বলতে পারেন গুরপ্রীতের খেলা দেখে আমি অনুপ্রাণিত।’
২০১৫ সাল থেকে দলের নিয়মিত মুখ রানা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার পছন্দের ফুটবলার ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি বুফন। ২০০৩ সালে সেনাবাহিনীর ফুটবল দলে নিয়মিত খেললেও জাতীয় দলের স্বপ্ন প্রবল হওয়ায় ছেড়েছিলেন সেনাবাহিনী। জাতীয় দলে যোগ দেয়ার আগে তিনি খেলতেন মোহামেডান স্পোটর্টি ক্লাবে, ‘সেনাবাহিনীর ফুটবল দল প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেয় না, আন্তঃবাহিনী ফুটবল প্রতিযোগিতায় কেবল অংশ নেয়। প্রিমিয়ার লিগে না খেললে তো নির্বাচকদের চোখেও পড়া সম্ভব নয়। তাই ১০ বছর সেনবাহিনীর ফুটবল দলের হয়ে খেলার পরে আমি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দিই। দুটো ম্যাচ খেলার পরেই জাতীয় দলে আমার ডাক পড়ে।’
বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে ভারত এখনও জয়হীন; দুই ম্যাচে একটি করে হার ও ড্র। তবে তাদের প্রাপ্তির খাতা একেবারে শূন্য নয়। ওমানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হার দিয়ে শুরুর পর এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতারকে তাদেরই মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিয়েছিল তারা। ওমান ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছিলেন দলটির তারকা ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রী। অন্যদিকে পুরোপুরি বিপরীত মেরুতে বাংলাদেশ। হেরেছে দুই ম্যাচেই। গোল খেয়েছে ৩টি, করতে পারেনি একটিও। ফরোয়ার্ডরা বারবার হয়েছেন ব্যর্থ। বাংলাদেশের জন্যও আতঙ্ক ছড়াতে পারেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ গোল করা ছেত্রী। তবে শুধু ভারতীয় অধিনায়কই নন, প্রতিপক্ষ সব খেলোয়াড়ের জন্যই তৈরি হচ্ছেন রানা, ‘সুনীল ছেত্রী দলে ফিরছে। তবে শুধু সুনীল নয়, ভারতের আরও কয়েক জন ফুটবলার রয়েছে, যাদের জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি।’ ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দলের উন্নতিও চোখে পড়েছে এই গোলরক্ষকের, ‘ভারত ফুটবলে আগের থেকে অনেক উন্নতি করেছে। ২০১৫ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে গিয়েছি। তখনকার ভারত আর এই ভারতের মধ্যে অনেক পার্থক্য।’
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে আগামীকাল স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ঐতিহ্যবাহী কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। হাসিমুখ নিয়েই কলকাতা থেকে দেশে ফিরতে চান বাংলাদেশের গোলকিপার। কিন্তু র‌্যাংঙ্কিংয়ে (ভারত-১০৪, বাংলাদেশ-১৮৭) অনেক এগিয়ে থাকা ভারতের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে গেলে উজাড় করে দিতে হবে নিজের সম্পূর্ণটা। সেটি করতে পারলেই কেবল কলকাতায় উড়ানো সম্ভব হবে লাল-সবুজের পতাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ