পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। দূষিত রক্ত চাই না। দূষিত রক্ত বের করে দিয়ে আবার আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। খারাপ লোকের আমাদের দরকার নেই। ক্লিন ইমেজের পার্টি দরকার। আগামী জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে আমরা আমাদের দলকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মডেলে ঢেলে সাজাতে চাই। আমরা ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চাই সারাদেশে। খারাপ ইমেজের লোক যাদের ভাবমূর্তি নেই, এই সব লোকদের দলে টেনে পাল্লা ভারি করে কোনো লাভ নেই। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। আমার দুষ্টু গরুর দরকার নেই।
গতকাল রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ দল থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এই সৎ সাহস তার আছে। বঙ্গবন্ধুর পর বাংলাদেশে আর কোনো শাসক, প্রধানমন্ত্রী, কিংবা কোন প্রেসিডেন্ট এই সৎ সাহস দেখাতে পারেননি যে নিজের দলের অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছেন।
তিনি হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীরা সাবধান! ভ‚মি দখলকারীরা সাবধান! জুয়াড়িরা সাবধান! টেন্ডারবাজরা সাবধান! চাঁদাবাজরা সাবধান! মাদক ব্যবসায়ীরা সাবধান! শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এই অ্যাকশনের টার্গেট থেকে কোনো অপকর্মকারী রেহাই পাবে না। যারা দলের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধপন্থায় বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। তার নির্দেশেই শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান শুধু ঢাকা সিটিতেই নয় সারা বাংলাদেশে চলবে।
আওয়ামী লীগের নেতায় নেতায় দ্ব›দ্ব নিয়ে তিনি বলেন, ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করে আওয়ামী লীগ টিকে থাকতে পারে না। আবারো দুর্যোগ আসতে পারে। সে সময় হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও এই সুবিধাবাদি অপকর্মকারীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে বড় বড় কথা বলেন মির্জা ফখরুল সাহেব। বুকে হাত দিয়ে বলুন, হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবন, লুটেরা ভবন, সারা বাংলাদেশকে লুট করেছেন। খুনে খুনে বাংলাদেশ রক্তনদী হয়ে গেছে। লাশে লাশে বাংলাদেশ, লাশের পাহাড় হয়ে গেছে। বিচার কি হয়েছে? শাস্তি কি কেউ পেয়েছে? আজকে বড় বড় কথা বলেন! গলাবাজি করেন!
ক্যাসিনো প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আজকে ক্যাসিনোর কথা বলেন, গডফাদারের কথা বলেন। এসবের সৃষ্টি কারা করেছে? বঙ্গবন্ধু মদ, জুয়া আইন করে বন্ধ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সেটা চালু করেছেন। এ জুয়ার স্রষ্টা হচ্ছেন আপনারা। ড্রাগের দিকে এ দেশের তরুণদেরকে ঠেলে দিয়েছেন আপনারা। বড় বড় কথা বলেন কোন মুখে! মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন, সরকার আজকে খাদের কিনারে। আমি বলতে চাই, যে দলকে জেল, জুলুম নির্যাতন করে আপনারা নিঃশ্বেষ করতে পারেননি, যে দল বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে সেই দল কোনো দিন খাদের কিনারে যাবে না। বিএনপিই আজকে গভীর খাদের কিনারে। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, সবকিছুতেই ব্যর্থ।
তিনি আগামী জাতীয় কাউন্সিলের আগেই সকল মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন করার তাগিদ দিয়ে বলেন, জাতীয় কাউন্সিলের আগেই তৃণমূলের মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল কমিটি করতে হবে। এ নিয়ে কারও গাফিলতি সহ্য করা হবে না। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল জামায়াত পরিবারের সন্তান। আবরার হত্যাকান্ডে জড়িতদের বেশিরভাগই জামায়াত বিএনপি পরিবারের সন্তান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং সদস্য মেরিনা জাহান।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় পরারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, পাবনার এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, রাজশাহীর এমপি এনামুল হক, আয়েন উদ্দিনসহ বিভাগের অন্যান্য আসনের এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভা কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক যোগ দেন। প্রতিটি জেলা থেকে একজন নেতা সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির বর্তমান পরিস্থিতিসহ সাংগঠনিক অবস্থার কথা তুলে. ধরেন। কেন্দ্রীয় নেতারা সেসব কথা শোনেন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।