Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরো ৩ হাজার মার্কিন সেনা সউদীতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার পর সউদীআরবে অতিরিক্ত ৩০০০ সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে সেখানকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা হবে। শুক্রবার এ অনুমোদন দিয়েছে পেন্টাগন। এর মধ্যে অতিরিক্ত দুটি প্যাটিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি, একটি থাড ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সিস্টেম, দুটি ফাইটার স্কোয়াড্রন এবং একটি এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং মোতায়েন অনুমোদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার। পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সউদী আরবের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়টি সউদীক্রাউন প্রিন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে শুক্রবার সকালে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এস্পার। তিনি বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে সউদীআরবে আরও ৩০০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে। এই সংখ্যা গত মাসে সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্তের অতিরিক্ত। এস্পার পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে অব্যাহত হুমকি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই সেনা মোতায়েন। এ ছাড়া সউদীআরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের অধিক আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা কামনা করেন। এস্পার বলেন, এ জন্য তিনি অতিরিক্ত সহায়তার অনুরোধ করেছিলেন। উল্লেখ্য, মে মাস থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। এ সংখ্যা প্রায় ১৪০০০। তবে গত মাসে সউদীআরবের তেলক্ষেত্রে যে দুটি ভয়াবহ হামলা হয় তারপর সেখানে প্রতিরক্ষাম‚লক ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র। তারই অংশ হিসেবে এই সেনা মোতায়েন। ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে সউদী আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান কিছু দেশ। তবে এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ওদিকে সউদীআরবে সেনা মোতায়েন নিয়ে ইরান প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তাদের আশঙ্কা একটি যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে প্রতিপক্ষ। কারণ, গত মাসে সউদী ক্রাউন প্রিন্স বলেন, উদ্ভ‚ত সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের চেয়ে সামরিক সমাধানের পক্ষে রিয়াদ। অর্থাৎ তিনি যুদ্ধের পক্ষে। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ