পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িং এর কাছ থেকে আনা ব্র্যান্ড নিউ ১০টি উড়োজাহাজ এখন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে। ২০০৮ সালে করা চুক্তি অনুযায়ী ২০১১ সাল থেকে বিমানের বহরে একে একে যুক্ত হওয়া শুরু হয় বিমানের বহরে। এভাবে সর্বশেষ বোয়িংটি বিমানে যোগ হয়েছে গেল মাসে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিমানে যুক্ত হওয়া সর্বশেষ বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ (রাজহংস) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, বোয়িং শিগগিরই তাদের আরো দুটি উড়োজাহাজ বিক্রি করবে, কেউ এখনো অর্ডার দেয়নি, সুযোগটা তারা নেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সবুজ সংকেত পেয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়ে ওঠে কিভাবে এই দুটি উড়োজাহাজ কেনা যায়।
সাধারণত বোয়িং থেকে কেনা উড়োজাহাজ পেতে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়। কারণ চুক্তির পরেই তারা সুনির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের জন্য সুনির্দিষ্ট মডেলের উড়োজাহাজ তৈরির কাজ শুরু করে। তাই টাকা থাকলে, পরিশোধ করা হলেও কেউ নতুন একটি উড়োজাহাজ পাবে না। কিন্তু এবার বিমানের জন্য সেই মোক্ষম সুযোগটি এসেছে। দুটি বোয়িং ব্র্যান্ড নিউ ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ মডেলের কেনার সুবর্ণ সুযোগ। আর তাই বিমানও এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীনের হেইনান এয়ারলাইন্স ড্রিমলাইনার দুটি কেনার অর্ডার দিয়েছিল। এখন তারা আর কিনতে আগ্রহী নয়। মূলত চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণেই এ অবস্থার তৈরি হয়েছে। তাই এখন বিমান চাইছে দরকষাকষির মাধ্যমে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে কেনা যায় কিনা।
বর্তমানে একটি ড্রিমলাইনারের বাজারমূল্য প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। বিমান চাইছে দরকষাকষি করে বাজারমূল্য কমাতে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, এর বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েকশ কোটি টাকা কমাতে দরদাম করছে বিমান। বোয়িংয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করেছেন। ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েক দফার বৈঠকে দামের ব্যাপারে একটি বোঝাপড়া চুড়ান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিমান সচিব মহিবুল হক জানান, তারা যে দুটি ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ কিনতে চাচ্ছেন তা এরই মধ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত। চীনের এয়ারলাইন্সটি তা না কেনায় বিমান বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে কিনতে চাইছে। এজন্য দরকাষাকষিও হচ্ছে।
বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিমান উড়োজাহাজ দুটি কিনতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি।
সচিব জানান, এই উড়োজাহাজ কেনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চুক্তির বিস্তারিত সব তথ্য প্রকাশ করা হবে যাতে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকে।
উড়োজাহাজ দুটি ডিসেম্বর মাসের দিকে দেশে আসবে। এই দুটি উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হলে বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টিতে।
ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ মডেলের একটি উড়োজাহাজ ৩০০ যাত্রী পরিবহন করতে পারে। টানা ১৪ হাজার কিলোমিটার উড়তে সক্ষম এই উড়োজাহাজের দৈর্ঘ্য ২০৬ ফুট।
এই দুটি উড়োজাহাজ ছাড়াও বিমান কানাডা থেকে আরো তিনটি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছে। কয়েক মাসের মধ্যে এই উড়োজাহাজ সমূহও বিমানের বহরে যুক্ত হচ্ছে। জিটুজি পদ্ধতিতে এই উড়োজাহাজ কিনতে চুক্তি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।