Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রহস্যময় তেল ব্রাজিলের ১৩০ সৈকতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পরিবেশ দ‚ষণের থাবা পিছু ছাড়ছে না ব্রাজিলের। একদিকে বিশ্বের বৃহত্তম চিরহরিৎ বন আমাজন পুড়ছে। এরই মধ্যে ব্রাজিলের উত্তর-প‚র্বাঞ্চলীয় উপক‚লের ১৩০টি সমুদ্রসৈকতে ছড়িয়ে পড়েছে রহস্যময় তেল। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান। পরিবেশ দ‚ষণের থাবা পিছু ছাড়ছে না ব্রাজিলের। একদিকে বিশ্বের বৃহত্তম চিরহরিৎ বন আমাজন পুড়ছে। এরই মধ্যে ব্রাজিলের উত্তর-প‚র্বাঞ্চলীয় উপক‚লের ১৩০টি সমুদ্রসৈকতে ছড়িয়ে পড়েছে রহস্যময় তেল। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান। মারা যাচ্ছে কচ্ছপ, কাঁকড়া, মাছ, পাখিসহ সামুদ্রিক বহু প্রজাতি। কে বা কারা এই তেল ফেলে গেছে তার কোনো হদিস এখনও মেলেনি। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তা খুঁজে বের করতে বেশ ঘাম ঝরাচ্ছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো একে বড় ধরনের চক্রান্ত হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। এএফপি জানায়, সৈকতে ছড়ানো তেল প্রথম নজরে আসে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে। সে সময় আটটি রাজ্যের ১০৫টি স্থানে ১৫শ’ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তেল পাওয়া যায়। পরে ব্রাজিলের উত্তর-প‚র্বাঞ্চলের ৯টি রাজ্যের সবক’টিতে ১৩০টি সমুদ্রসৈকতে ২ হাজার কিলোমিটারজুড়ে তেল পাওয়া যায়। এতে জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকতগুলোসহ প্রাণীরাও দ‚ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী রিকার্ডো স্যালেস বলেন, এসব তেল অপসারণই সরকার প্রথমে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সৈকত থেকে ইতিমধ্যে ১০০ টনের বেশি তেল সরানো হয়েছে। ব্রাজিলের পরিবেশ সংস্থা আইবামা জানিয়েছে, ওই তেল পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এটি ব্রাজিলে উৎপন্ন হয় না এমন এক ধরনের তেল। মঙ্গলবার বলসোনারো বলেন, আমরা তেলের কনটেইনারে কোনো ধারাবাহিক ছিদ্র পাইনি। যদি এটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষের তেল ট্যাংকার হতো, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে ছিদ্র দিয়ে তেল বের হয়ে যেত। এটা বড় ধরনের একটা চক্রান্ত, সুস্পষ্ট অপরাধম‚লক কর্মকান্ড। ওই তেল সমুদ্রকে দ‚ষিত করেছে। ফেডারাল ইউনিভার্সিটি অব রিও গ্র্যান্ড ডো নর্টের সমুদ্র গবেষক মারিয়া ক্রিস্টিনা আরাউজো এএফপিকে বলেন, উত্তর-প‚র্ব ব্রাজিলের উপক‚লীয় বাস্তুসংস্থান বড় ক্ষতির মুখে। ম্যানগ্রোভ, পাথুরে খিলান এবং প্রবাল প্রাচীর ধ্বংসের ঝুঁকিতে রয়েছে। ক্ষতিটি অপ‚রণীয় হতে পারে এবং বাস্তুসংস্থানগুলো পুনরুদ্ধারে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, এর কারণে ইতিমধ্যে পর্যটকরা ওইসব সৈকতে যেতে চাইছেন না। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ