মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বেশ কয়েকজন রাজকুমার এবং ব্যবসায়ীর সম্পত্তি ও লেনদেনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সউদী কর্তৃপক্ষ। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ‘অ্যান ওল্ড ডিপ্লোম্যাট’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে এর প্রমাণ হিসেবে কিছু দলিলও প্রকাশ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এটি ২০১৭ সালে চালানো রিটজ-কার্লটন অভিযানের মতোই সউদী ব্যবসায়ী এবং প্রিন্সদের বিরুদ্ধে চালানো দ্বিতীয় অভিযান।
‘অ্যান ওল্ড ডিপ্লোম্যাট’ থেকে করা টুইটে বলা হয়েছে, জমি বিক্রি বা লেনদেন নিষিদ্ধ করে সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রিয়াদের উত্তরে শেখ আজলান আল-আজলানের মালিকানাধীন বিশাল জমি দখল করেছেন।
অপর এক টুইটে বলা হয়েছে, রিয়াদের উত্তরে হামাদ বিন সা’দানের মালিকানাধীন সংস্থার সম্পত্তির পরিচালনা ও বিক্রির উপরেও স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। টুইটে সউদী রিয়েল এস্টেট বাজারের আকস্মিক ও দ্রæত পতনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে ২০০৬ সালে যেমন হয়েছিল, সব শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ কিংবা আরো বেশি কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রিয়াদ আল-মুস্তাকবাল রিয়েল এস্টেট, আবদুল রহমান আল-শেখ এবং মোহাম্মদ আল-এইদানের রিয়েল এস্টেট সম্পদও ফ্রিজ করা হয়েছে। ‘অ্যান ওল্ড ডিপ্লোম্যাট’ এর তথ্য মতে, যাদের রিয়েল এস্টেট সম্পদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ওলায়া রিয়েল এস্টেট সংস্থা, ইউনিস মোহাম্মদ আল-আওয়াদ, ইব্রাহিম বিন সায়দান এবং ইব্রাহিম আল-হারাবী ছাড়াও বাদশাহ সালমানের ভাই প্রিন্স বদর বিন আবদুল আজিজও আছেন। তালিকায় আরো আছেন মোসা, আদিল আল মুসা এবং সালেহ শুকাইর।
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে, যুবরাজ সালমান একটি ‘দুর্নীতি দমন অভিযান’ চালিয়েছিলেন। সেই অভিযানে শাসক পরিবারের প্রিন্স, প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীদের অনেককেই গ্রেফতার করা হলে সমালোচনা শুরু হয়। গ্রেফতার করার পর সবাইকে বিখ্যাত রিটজ কার্লটন হোটেলের ভিতরে রাখা হয়েছিল। পরে, সউদী অ্যাটর্নি জেনারেল সউদ বিন আবদুল্লাহ আল-মোয়াজাব ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, দুর্নীতি দমন তদন্তের অংশ হিসাবে গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ীদের এবং কর্মকর্তাদের সাথে আর্থিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে সরকার ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সংগ্রহ করতে সফল হয়েছে। সূত্র : নিউজ রিপাবলিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।