Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অরণ্য ধ্বংসের পেছনে সয়াবিন চাষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ফাস্ট ফুড চেইনগুলো এমন পশুর মাংস বিক্রি করছে যাদের খাদ্য সয়াবিনের ওপর নির্ভরশীল। আর এ সয়াবিনের বড় চালান আসে ব্রাজিল থেকে। এ জন্য ব্রাজিল থেকে সয়াবিন যাতে আমদানি না করা হয় সে জন্য ফাস্ট ফুড কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছিল পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিস। তাদের বক্তব্য ছিল, যত সময় পর্যন্ত পরিবেশ রক্ষায় ব্রাজিল পদক্ষেপ না নেয় তত সময় পর্যন্ত দেশটি থেকে সয়াবিন আমদানি করা যাবে না। গ্রিনপিসের প্রধান রিচার্ড জর্জের মতে, প্রত্যেক বড় বড় ফাস্ট ফুড সংস্থা তাদের পশুদের খাবারের জন্যে সয়াবিন ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তারা কেউই জানে না এই সয়াবিন কোথা থেকে আসছে। তারা এও জানে না, সারা বিশ্বে অরণ্য ধ্বংসের পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ সয়াবিনের চাষ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ব্যবসায়িক হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৭৬১,৭৩৯ টন সোয়া আমদানি করা হয়েছিল ব্রাজিল থেকে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ব্রাজিলের অ্যামাজন এবং সেরাডোতে যে আগুন লেগেছে তা ইচ্ছে করেই লাগানো হয়েছে যাতে সেই জমিতে কৃষিকাজ (ম‚লত সোয়া চাষ) এবং পশুপালন করা যায়। ২০০৬ সালে গ্রিনপিস এবং অন্যান্য পরিবেশ রক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যেখানে অ্যামাজনে নতুন করে কোনও জমিতে সয়াবিনের চাষ করায় বাধা দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ম্যাক ডোনাল্ডস, টেসকো, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারসসহ প্রায় ২৩টি সংস্থা সেরাডো ম্যানিফেস্টো সই করেছিল। এই সবের একটাই উদ্দেশ্য ছিল- ভবিষ্যতে বনের ধ্বংস আটকানো। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ