Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শান রাজ্যে সেনাবহরে হামলা মিয়ানমারের ৩ সৈন্য নিহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) বুধবার উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের হসেনি টাউনশিপে সাতটি সেনা ট্রাকের একটি বহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সৈন্যকে হত্যা ও আরো তিনজনকে আহত করেছে। স্থানীয় স‚ত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ওই হামলায় সাতজন বেসামরিক নাগরিকও সামান্য আহত হয়েছে। সেনাবহর হসেনি শহর ত্যাগ করার সময় হামলাটি হয় বলে শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য সাই ওও দি ইরাবতীকে জানিয়েছেন। হামলার পর স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওও বলেন, শহরে হামলার পরপরই আমি নগর কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করে অধিবাসীদের কিভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করি। তিনি বলেন, আমি মৃত দুই সৈন্যের লাশ দেখেছি, এছাড়া আহত তিনজনকেও দেখেছি। তিনি আহতদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিহত আরেক সৈন্যকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হামলাটি শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় এবং তা দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন কয়েজন সৈন্য হতাহত হওয়ার বিষয়টি ইরাবতীকে নিশ্চিত করেছেন, তবে সংখ্যাটি কত তা স্পষ্টভাবে বলেননি। টিএনএলএ মুখপাত্র মেজর তার আইক কিয়াও বলেন, জাতিগত গ্রæপটি আগেই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তিনি দাবি করেন, হামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি ট্রাক বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, মিয়ানমার বাহিনী অব্যাহতভাবে সৈন্য মোতায়েন করে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ায় এই হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, এই সাত সেনা ট্রাক হসেনি ত্যাগ করে আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এ কারণেই আমরা তাদের আটকানোর জন্য হামলা করেছি। সাই ওওর মতে, টিএনএলএ হসেনি শহরে বেশ কিছু যোদ্ধাকে মোতায়েন করেছিল। তিনি অনুমান করছেন যে টিএনএলএ বাহিনী যদি বহরটির মুখে না পড়ত, তবে মিয়ানমার সেনবাহিনীর যে ঘাঁটিটি ওই শহরে আছে, সেটি আক্রান্ত হতো। দুই ঘণ্টার হামলার পর টিএনএলএ সৈন্যরা শহর থেকে সরে গিয়ে আশপাশের জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমার সৈন্যরা তাদের পিছুও নেয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ৫টি সামরিক অঞ্চলে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। এসবের মধ্যে শান রাজ্যও রয়েছে। কিন্তু কোথাও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে না। ইরাবতী, এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ