গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভারতে গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা বলে উল্লেখ করেছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। রবিবার এক বিবৃতিতে কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ভারতে গ্যাস রপ্তানির চুক্তিতে প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে এবার ভারতে এলপিজি গ্যাস রপ্তানির চুক্তি করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সীমিত গ্যাসসম্পদের শতভাগ দেশে ব্যবহারের বিষয়ে দীর্ঘদিনের একটি ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে গ্যাস সংকটের কারণে কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বহু শিল্প-কলকারখানা ও বাসাবাড়িতে গ্যাস দেয়া যাচ্ছে না। গ্যাস সংকটের কথা বলে সরকার নিজেই অনেক বেশি ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি করছে। গ্যাস সংকটের কথা বলে সরকার একের পর এক কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিনাশে কর্যক্রম করছে। সংকটের কথা বলেই এলএনজি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সুন্দরবনকে ক্ষতি গ্রস্ত করে তার সংলগ্ন এলাকায় এলপিজি প্লান্ট স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এখন সেই ‘এলপিজি উদ্বৃত্ত’ এই যুক্তি দেখিয়ে ভারতে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে এলপিজির প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এবং ভারত লাভবান হবে। আর বাংলাদেশের একদিকে সুন্দরবন অন্যদিকে অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নিজেদের গ্যাস সংকট বহাল থাকা অবস্থায় গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত আত্মঘাতি শুধু নয় দেশের স্বার্থের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর।
নেতারা বলেন, এটা পরিস্কার যে সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও দুই দেশের বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রেই ভারতকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে বাংলাদেশকে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তেল-গ্যাস বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সরকারের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সেই সাথে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী তৎপরতা থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।