বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শালিসদের বিরুদ্ধে বিচারের নামে চোর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চৌরখুলি গ্রামে। আজ শনিবার ভুক্ত ভোগী ফিরোজ শেখ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন গত ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পাশ্বর্বর্তি মোক্তার ওস্তার ছেলে রিদয় ওস্তা (২০) আমাদের ঘরের দরজা খুলে স্বর্ণের চেইন, নাকফুল, কানেরদুল, নগদ টাকা ও মোবাইল চুরি করে যাওয়া সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় সে তার পরনের প্যান্ট, সার্ট, সেন্ডেল ও একটি বঠি রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় ভোর হয়ে গেলে স্থানীয়রা চোরকে ধরে এনে স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, মন্নান শেখ, আজগর ওস্তা, উলা ওস্তা, মনির মিয়া, চোরের বাবা মোক্তার ওস্তা, হাবিল শেখ, ঠান্ডা মিয়া, শরাফত মিয়া, সাদ্দাম ভূইয়া, পনির মিয়া, আমির আলি উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য চোরের বিচার করে মালামাল ফেরত দেয়ার কথা বলে এসময় চোর রিদয় ওস্তা উপস্থিত শালিসদের সামনে চুরি করে মালামাল নেয়ার কথা স্বীকার করে এবং শালিসদের মাধ্যমে ফেরত দেওয়ার কথা বলায় তাকে তিনদিনের সময় দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর হতে এ পর্যন্ত আমি আমার চুরি যাওয়া মালামাল ও কোন বিচার পাইনি এ বিষয় নিয়ে একদিন চোরের বাবার কাছে মালামাল দেয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন যে শালিসদের কাছে মালামাল দেওয়া হয়েছে, ফিরোজ শেখ আরও বলেন এখন পর্যন্ত আমি যখন আমার মালামাল ফেরত বা কোন বিচার পেলাম না তাই আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে চোরের বিচার এবং মালামাল ফিরিয়ে পাওয়ার দাবি জানাই। স্থানীয়রা জানান রিদয় একজন পেশাদার চোর সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চুরি করে আসছে তার একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে ঐ রাতেই সে এমারত শেখের ঘড়ে ঢুকে নগদ বিশ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল নিয়ে যায় এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অনেক চুরির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে শালিস সভার সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মন্নান শেখ বলেন রিদয় চুরির কথা স্বীকার করে মালামাল ফেরত দিতে রাজি হয় এবং তিন দিনের সময় দেওয়া হয় কিন্তু কিছু প্রভাবশালী শালিস চোরের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় মালামাল দিচ্ছে না, মোক্তার আলি শেখ এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি শালিস সভায় ছিলাম চোর প্রমানিত হয়েছে মাল ফেরত দেয়ার কথা ছিলো এখন দেয়না, ইউপি সদস্য কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ঐ শালিস আমি করি নাই এবং ছারি ও নাই কারণ এলাকার মেম্বর আমি চোর ও আমার এবং গৃহস্থ আমার এর বেশি আমি কিছু বলবো না। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন বিষয়টি জানা ছিলনা তবে অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।