পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য এখনও নিরাপদ নয় মিয়ানমার। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে দেয়া এক রিপোর্টে এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের নিরপেক্ষ তদন্তকারী, স্পেশাল র্যাপোর্টিউর ইয়াংহি লি। ওই রিপোর্টে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিষ্পেষণের ধারাকে ভেঙেচুরে দিতে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার। জাতিসংঘে দেয়া তার ওই রিপোর্টটি বিলি করা হয় শুক্রবার। এতে বলা হয়েছে, এখনও রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে যেসব রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন তাদের অবস্থা ভয়াবহ। তারা গ্রাম ছাড়তে পারে না। জীবিকা নির্বাহ করতে উপার্জন করতে পারেন না। এক্ষেত্রে ওইসব মানুষ শুধু মানবিক ত্রাণের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন।
তাদের অধিকারকে এত বেশি দমিয়ে রাখা হয়েছে যে, বেঁচে থাকার মৌলিক অর্থটাই তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইয়াংহি লি বলেছেন, যখন মিয়ানমারে এমন অবস্থা বিরাজমান তখন সেখানে শরণার্থীদের ফিরে যাওয়া নিরাপদ এবং টেকসই হবে না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে বাড়ি বাড়ি গণনার ভিত্তিতে প্রশাসনিক রেকর্ড থেকে রোহিঙ্গাদের মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এতে তাদের ফিরে যাওয়ার সম্ভাব্যতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। রোহিঙ্গারা ফিরে গেলে তাদেরকে একটি ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দেয়ার কথা বলেছে মিয়ানমার। কিন্তু নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে এটা কোনো সমাধান নয়। রোহিঙ্গা মুসলিমদের দাবি, তাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিতে হবে। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। যেসব জমিজমা, বাড়িঘর তারা ফেলে এসেছেন তা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমার সরকার তাদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এমন কি একটি জাতিগত গ্রুপ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর ফলে তারা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।