Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সপ্তাহজুড়ে পতনে শেয়ারবাজার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

 অস্থিতিশীলতার বড় উদাহরণ দেশের শেয়ারবাজার। স্থিতিশীলতা যেখানে সোনার হরিণ। এক সপ্তাহ কিছুটা ভালো থাকলেও টানা মন্দা থাকে কয়েক সপ্তাহ। টানা চার সপ্তাহ দরপতনের পর গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতায় দেখা মিলে। তবে তা খুব বেশি দীর্ঘ হয়নি। সপ্তাহ না গড়াতেই আবার পতনের ধারায় ফিরে এসেছে শেয়ারবাজার। ফলে গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে বাজার মূলধন।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৩৭টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে, দাম কমেছে ১৯৩টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার ফলে ডিএসইর সব সূচকের পতন হয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩০ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১১২ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ১৩ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৩৩ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর গত সপ্তাহে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ২৫ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৫ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে মূল্য সূচকের পতন হলেও কিছুটা বেড়েছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২০ লাখ টাকা বা দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯৫৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ ছাড়া মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ ছিল ‘বি’ গ্রুপের দখলে। মোট লেনদেনে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান ১ দশমিক ১০ শতাংশ। আর ‘এন’ গ্রুপের অবদান ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু জুট স্টাফলার্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ১২ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ৪৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস। লেনদেনে এরপর রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, মুন্নু সিরামিক, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, স্টাইল ক্রাফট, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, জেএমআই সিরিঞ্জ সামিট পাওয়ার।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ