পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মদীনা শরীফের মসজিদে নববীর ইমাম মসজিদুল হারামাইনের শিক্ষক ও রাবেতা আলম ইসলামিয়ার উপদেষ্টা ড. আহমদ হামেদ জিলান তাশরিফ আনেন বলেছেন, ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশ-এর সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতি ভালোবাসা রাখা ঈমানী দায়িত্ব। ঝগড়া ফিতনা-ফ্যাসাদ পরিহার করে সকলকে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে সফররত মসজিদে নববীর ইমাম একথা বলেন। তিনি মসজিদে গাউছুল আজমের জুমার নামাজে ইমামতি করেন।
এ সময় স্বাগত বক্তব্যে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত ও কৃপায় আমরা এমন একজন মানুষকে কাছে পেয়েছি, যিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত। তাঁর কথা শোনা ও তার পেছনে নামাজ আদায় করতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার।
মসজিদে নববীর ইমাম ড. আহমদ হামেদ জিলান তাশরিফ আনেন পরস্পর ভ্রাতৃত্ববোধ, আন্তরিকতা, দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রত্যেক মানুষের তার মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। ইমাম দেশের স্বাধীনতার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিতা ও তাঁর পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করেন। সবশেষে উপস্থিত মুসল্লিদের তাঁর প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যদি কখনো বাংলাদেশে সফরে আসি তাহলে অবশ্যই মসজিদে গাউছুল আজমে আসব ইনশাআল্লাহ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ। নামাজ শেষে সফররত মেহমান মুসলিম উম্মাহর শান্তি বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ উপলক্ষে মসজিদে গাউছুল আজমে নারী-পুরুষ মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।