বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি না হওয়ায় হতাশা ও শত্রুতা থেকে আল আমিন হাওলাদার রুবেল খুন করে তার খালাতো ভাই শিক্ষানবিশ আইনজীবী মশিউর রহমানকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
র্যাব ও সিআইডির সূত্র জানায়, পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে আল আমিন রুবেলের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা নেয় ছাত্রলীগ নেতা এম এ নাসিম। টাকা নিলেও নাসিম কনস্টেবল পদে রুবেলকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। চাকরিও হয়নি আবার টাকাও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে রুবেল। খালাতো ভাই মশিউর বিভিন্ন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়ায় রিপোর্ট সন্তোষজনক হয়নি বলে রুবেলকে জানান নাসিম। এ কথা শুনে রুবেল ক্ষিপ্ত মশিউরের উপর। সেই মোতাবেক রুবেল ও তার বন্ধু আকিমুদ্দিন মশিউরকে খুন করে। নাসিমের পরামর্শে মশিউরের হাত পা বেঁধে একটি বস্তায় ভরে নগরীর সুন্দরবন কলেজের সামনের ড্রেনের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। এরপর খুলনা সদর থানা পুলিশ মশিউরের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মশিউরের বাবা খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মশিউর নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে খুলনা সদর থানা পুলিশ ও র্যাব পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করে। এরপর গত ১৭ মার্চ র্যাব ৬ খুলনার সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এম এ নাসিম (৪০), আল আমিন রুবেল (২১) ও মো. সলেমান সিকদারকে (৪০) গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি খুলনা সিটি আইন মহাবিদ্যালয়ের এলএলবি শেষ বর্ষের ছাত্র মশিউর রহমান (২৫) অপহৃত হয়। মশিউর নগরীর গগন বাবু রোডের মো. শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে। গত ১৩ জানুয়ারি নগরীর সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সামনে ড্রেনে অপহৃত মশিউর রহমানের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।