বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট সংশোধন করে নি¤œ আদালতের দেওয়ানি বিচারকদের পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলা নিষ্পত্তির এখতিয়ার গেজেটের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট সংশোধনী আইন ২০১৬ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। তিন সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট-১৮৮৭ সংশোধন করে গত ১২ মে গেজেট জারি করে সরকার। সে অনুযায়ী একজন সহকারী জজ দুই লাখ টাকার পরিবর্তে ১৫ লাখ টাকা, সিনিয়র সহকারী জজ চার লাখ টাকার পরিবর্তে ২৫ লাখ টাকা ও জেলা জজ পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন। গত ৫ জুন আলী আজম ফরাজী নামের এক ব্যক্তি রিট দায়ের করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করেন। এর আগে আরেকটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট সংশোধন করে দেওয়ানি আদালতের বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার নিয়ে রুল জারি করেন। সংশোধিত সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট সংশোধনী আইন ২০১৬-এর ৪ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংশোধিত আইনের ফলে উপরোক্ত মূল্যমানের হাইকোর্টে বিচারাধীন আপিলগুলো শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য জেলা জজ আদালতে ফেরত যাবে। এ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার সাইদুল আলম খান ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল সাঈদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।