Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সহিংস ও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে হংকং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মঙ্গলবার কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর উদযাপন করেছে চীন। পুলিশ বলছে, ওই দিনটিতেই সবচেয়ে বেশি সহিংস ও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে হংকং। বিশেষ প্রশাসনিক এই অঞ্চলে চীনের কোনো হস্তক্ষেপ চায় না সেখানকার মানুষ। হংকং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ম‚লত এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বিতর্কিত বন্দি বিনিময় বিলকে কেন্দ্র করে। ওই বিলে বলা হয়েছে যে, হংকংয়ে কেউ গ্রেফতার হলে তাকে চীনের হাতে তুলে দেয়া যাবে। কিন্তু চীনের বিচার ব্যবস্থা ভিন্ন। তাই এই বিলের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নেয় হংকংয়ের জনগণ। খসড়া আইনটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দিন দিন আরও সহিংস হয়ে উঠছে। লাখ লাখ মানুষ তিন মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন। প্রথমে প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে ধীরে ধীরে তা নিজেদের স্বাধীনতার দাবিতে পৌঁছেছে। এদিকে, মঙ্গলবার ১৮ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে পুলিশ। এবারই প্রথম বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তাজা বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। ছয় দফা গুলি ছুড়লে একটি গুলি এসে ওই বিক্ষোভকারীর বুকে লাগে। অপরদিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা এবং প্রজেক্টাইল ছুড়েছে বিক্ষোভকারীরা। হংকংয়ের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে ১৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ প্রধান স্টিফেন লো জানিয়েছেন, বিক্ষোভে ২৫ পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন। খবরে বলা হয়, চীনের জাতীয় উদযাপনের দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করছে হংকং-এর বাসিন্দারা। স্থানীয় সাংবাদিক ইলাইন ইউ বলেন, বেইজিং যখন উদযাপনে ব্যস্ত, তখন শোকাহত হংকং। হংকংয়ের বিক্ষোভকারীরা চীনের জাতীয় দিবসে শোক পালন করছে। ব্যানার নিয়ে তারা উইঘুর ও তিব্বতিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। পুলিশ প্রধান স্টিফেন লো বলেন, সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা পেট্রলবোমাও নিক্ষেপ করে বলে দাবি করেছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণের কাঁধে গুলি করে পুলিশ। এছাড়া সতর্কতাম‚লকভাবেও কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। এর আগে আন্দোলনকারীদের ওপর রাবার বুলেট ব্যবহার করা হলেও তাজা গুলির ঘটনা এবারই প্রথম। স্টিফেন লো’র দাবি, গুলি চালানো ‘বৈধ ও দায়িত্বশীল’ আচরণ ছিলো। কারণ ওই পুলিশ ভেবেছিলেন তার এবং সহকর্মীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ওই তরুণের স্কুলের সামনেও শান্তিপ‚র্ণ সমাবেশ করেছে শত শত মানুষ। অন্যদিকে আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেছে ৯৬ জন শিক্ষার্থী। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ