বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : এক দুই মাস নয় এক এক করে কেটে গেছে ১৫বছর। এতটা সময়ের মধ্যেও শেষ হয়নি নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার বিচার। এখনো চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ কাজ।
সব বাদ দিয়ে মাত্র ৬ জনের বিচারের জন্য চলছে এ সাক্ষ্যগ্রহণ। এরই মধ্যে আবারো চলে এসেছে ১৬ জুন। স্বজন হারানো ব্যথা বুকে চাপা দিয়ে এখনো নীরবে কাদছে বোমায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিহতের স্বজনরা। নীরব কবে বিচার পাবে তারা সে সময় ও যেন পুরায় না। তবে সেদিন ঘাতকদের একমাত্র নিশানা নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ একে এম শামীম ওসমান প্রাণে বেঁচে গেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (সিআইডি) মো: এহসান উদ্দিন চৌধুরী গতকাল বুধবার বিকেলে বলেন, মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এরপর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় দেবেন। ৩৫ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে ৬ জনকে আসামী করে আমরা চার্জশীট দাখিল করি। এদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী ২ জন পলাতক রয়েছে। মামলা বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতে ব্যাপারে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ নাই। তবে মুক্তি হান্নানকে আদালতে হাজির করার বিষয়ে বিভিন্ন সময় কালক্ষেপণ হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মামলা রয়েছে। ঐ সময় মুফতি হান্নান অনেক ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি এ কথা স্বীকারও করেছে। ২০০১ সালের ১৬ জুন শহরের চাষাঢ়াস্থ আওয়ামী লীগ অফিসে দেশের ভয়াবহ নৃশংস বোমা হামলায় মারা যান ২০ জন হতভাগ্য। সেদিন আহত হয়েছিল অর্ধশতাধিক, অনেকেই হয়েছেন পঙ্গু। ঘটনাস্থলে ১১ জন ও পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু ঘটে মোট ২০ জনের। এদের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হলেও পরিচয় মেলেনি ১ মহিলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।