Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ভারতীয় বাঁধের কারণে বন্যা তিক্ত নেপালিদের ক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

হিমালয় অঞ্চলে এখন বর্ষণের মওসুম। বৃষ্টির পানির প্রবল তোড়ে বাড়িঘর ভেসে যাওয়া, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়া, মানুষ ও প্রাণীর ভেসে যাওয়াও বন্ধ হবে না। কিন্তু এবার গ্রীষ্মে আকস্মিক বন্যা নেপাল সীমান্তের ওপারে ভিন্ন রকম আচরণ করেছে। ভারতীয় বাঁধের কারণে এবার নেপালে আগের চেয়ে দুই বা তিনগুণ বেশি এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই বন্যার প্রায় পুরো ক্ষয়ক্ষতি সীমান্তবাসীকে বহন করতে হয় বিধায় ভারত এখন নেপালবাসীর ক্ষোভ ও তিক্ততার প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে ভারত প্রায়ই তার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় বাঁধ দিয়ে নিচু ভূমিকে রক্ষার চেষ্টা করছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মওসুমে হিমালয় থেকে নেমে আসা নেপালের নদীগুলোতে পানির এতটাই তোড় থাকে যে তা পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারে। কিন্তু ভারতের দেয়া বাঁধগুলোর বিরুদ্ধে নেপালীদের ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। নেপালী কর্মকর্তারা বলছেন এগুলোর বিরুদ্ধে তারা কিছুই করতে পারছেন না। কারণ ভারত বড় ও শক্তিধর প্রতিবেশী। তারা আন্ত:সীমান্ত পানি বণ্টনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর একতরফাভাবে এসব বাঁধ নির্মাণ করছে। ম‚লত ভারতের সীমান্ত শহরগুলোর কাছে বা দুই দেশের মধ্যে বাফার জোনে এসব বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি বছর জুলাইয়ের বন্যা ছিলো বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। নেপাল অভিযোগ করে, বারবার অনুরোধ করার পরও ভারত অনেক বাঁধের সুইস গেট দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখে। নেপালী কর্মতারা বলছেন, ভারত কখন গেট খুলবে আর নেপালের সীমান্ত শহরগুলোতে মৃত্যু ও ধ্বংসলীরা বন্ধ হবে সেই আশায় বসে থাকতে হচ্ছে। এক সাক্ষাতকারে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিওয়ালী বলেন, গত আগস্টে ভারত ও নেপালী কর্মকর্তারা একটি যৌথ রিপোর্ট প্রকাশ করেন। তার উপসংহারে বলা হয়েছে যে প্লাবন, যা দুই দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তার জন্য দায়ী ভারতীয় বাঁধ ও অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বন্যার কারণে নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু ভারতের দাবি দুই দেশের মধ্যে আগে সই হওয়া চুক্তি মতোই এসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে এবং এতে দুই দেশের জনগণের উপকার হচ্ছে। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। বিশ্বের এক পঞ্চমাংশ মানুষের বাস এই অঞ্চলে। এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ