পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, টানা ৯ মাস লড়ে দেশ স্বাধীন করেছি ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান শোনার জন্য নয়। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি এই স্লোগান দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদদের আত্মত্যাগকে অসম্মান করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছেন। এটি চরম ঔদ্ধত্য ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এই মুহূর্তে তার বহিষ্কার দাবি করছি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে রাবি ভিসি ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেন। একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে অন্য দেশের স্লোগান কীভাবে দেন প্রশ্ন তুলে ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকেই।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অন্য একটি দেশের স্লোগান কি করে ভরা মজলিশে দেন তিনি তা তাদের মাথায় ঢুকছে না।
অনেকে বলছেন, এ স্লোগান এমনিতেই দেয়ার যৌক্তিকতা নেই, তার ওপর আবার অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সব ব্যক্তিত্বের মাঝে তিনি এটা করলেন। শিক্ষকদের কেউ কেউ বলছেন, এমন কাণ্ড করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে খাটো করে দেখালেন রাবি ভিসি। এটি একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ।
এদিকে ‘অখণ্ড ভারতের জয়ধ্বনি’ দেয়ায় রাবি উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রুপ সাদা দল। ভিসি ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান সাদা দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এনামুল।
গতকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দিয়ে রাবি ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান রাষ্ট্রদ্রোহিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি তার পদের চরম অবমাননা ঘটিয়েছেন এবং ওই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। অবিলেম্ব তাকে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে আইনের আওতায় এনে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তার যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
২৬ সেপ্টেম্বরে ইতিহাস বিভাগ ও জন-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন; ফ্রম দ্যা পারস্পেকটিভ অভ পিপলস স্টিস্ট্রি’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাট্টি, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। উপাচার্য তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলার পর ‘জয় হিন্দ’ বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।