পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমার বোন শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করব, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিন। মানবতা দেখিয়েছেন, আরেকটু দেখান। গতকাল শুক্রবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে গণফোরামের একাংশের ৬ষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু প্রেমিক। আমি তার মেয়ে শেখ হাসিনাকে কোনো গালি দিতে পারি না। খালেদা জিয়ার বিষয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন, তা আমি সমর্থন করি। কিন্তু তা আবেগের বশবর্তী হয়ে বলেছেন যা সংবিধানের আলোকে বলতে পারেন না। তবে বিএনপিকে দেশের বড় বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বেই এদেশে বিরোধী দলীয় ঐক্য গড়ে উঠতে হবে, বিএনপিকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ঐক্যফ্রন্টে গিয়েছিলাম ড. কামাল হোসেনকে দেখে। তার ওপর ভরসা করে। বিএনপিকে দেখে নয়। যতদিন বিএনপিতে জামায়াত থাকবে ততদিন আমি বিএনপির নেতৃত্বে কোনো জোটে যাবো না।
সম্মেলনে লিখিত বার্তায় গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে আপনাদের সামনে স্বশরীরে উপস্থিত হতে পারিনি। তবে আপনাদের এই জাতীয় কাউন্সিলের সমাবেশকে স্বাগত ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আপনাদের সাফল্য কামনা করছি। আমি সব সময় ঐক্যের কথা বলেছি। আশা করি, গণফোরামের সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থক ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে।
নেতৃত্ব বিভক্তির জের হিসেবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম দুই অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে গত বছর থেকেই। দুই অংশই আলাদাভাবে জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করে। দলটি একাংশের নেতৃত্বে আছেন সাবেক নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। তাদের কাউন্সিল আজকে হচ্ছে। অপর অংশের নেতৃত্বে আছেন সাংসদ মোকাব্বির খান, আওম শফিউল্লাহ, মোশতাক আহমেদ। এই অংশের সাথে রয়েছেন ড. কামাল হোসেন। এই অংশের কাউন্সিল জানুয়ারীতে হবে। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশটি গতকাল সম্মেলন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য সচিব সুব্রত চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আসুন সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে একটি গণ-আন্দোলন গড়ে তুলি। পরবর্তিতে একটি জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমি আশা করি, গণফোরামের নেতা-কর্মীরা এই গণ-আন্দোলনে রাজপথে থাকবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিস্ট-স্বৈরাচারি সরকার, অনির্বাচিত সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার, গণবিরোধী সরকার। এই সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। এজন্য দেশের মানুষের আজকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এই সরকারকে হটিয়ে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তারা পরবর্তি নির্বাচন ও ভোট প্রক্রিয়া কিভাবে হবে তা ঠিক করবেন।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে এখন একটা দুঃশাসন চলছে। তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন, জনপ্রিয় একজন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাকে দ্রæত বিদেশে চিকিতসার জন্য পাঠানো খুব জরুরী। এই সরকার খুবই অমানবিক, তারা তাকে বিদেশ পাঠাবে না।
কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিকের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির মনিরুল হক চৌধুরী, আবদুস সালাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাসদের নাজমুল হক প্রধান, বিকল্পধারার শাহ আহমেদ বাদল, রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির তানিয়া রব প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।