Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিরাপদ অঞ্চলের প্রস্তাব নাকচ করল মিয়ানমার

দ্বিপক্ষীয় প্রত্যাবাসন চুক্তির বাইরে গিয়ে কিছু করার নেই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘সেইফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে মিয়ানমার বলেছে, দুই বছর আগে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় প্রত্যাবাসন চুক্তির বাইরে গিয়ে কিছু করার নেই। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের পঞ্চম দিনের বিতর্কে নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার রাতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের মন্ত্রী কোয়ে তিন্ত সোয়ে একথা বলেন। তবে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের মুখে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য ‘আরও উপযোগী পরিবেশ’ তৈরিতে মিয়ানমার এখন অগ্রাধিকার দেবে বলে প্রতিশ্রæতি দেন দেশটির জ্যেষ্ঠ এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশ, জাতিসংঘ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জোটে আসিয়ানের মধ্য সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৭ সালের আগস্টে সেনা অভিযানের পর প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ওই বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যাবাসন হবে জানিয়ে কোয়ে তিন্ত সোয়ে বলেন, ‘মিয়ানমারের ভেতরে ‘সেইফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরির চাপ রয়েছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত করা যাবে না, বাস্তবসম্মতও নয়।’ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বিশ্বস্ততার সঙ্গে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটাই বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সমস্যা সমাধানের একমাত্র সম্ভাব্য উপায়। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা এসেছেন ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নতুন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। যাচাই-বাছাই করে মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার তালিকা চ‚ড়ান্ত করলেও দেশটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ায় দুদফা চেষ্টার পরও তাদের কাউকে ভিটেমাটিতে ফেরত পাঠানো যায়নি।
রোহিঙ্গা সঙ্কট বড় আকার ধারণ করার পর ২০১৭ সালে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন, যার মধ্যে রাখাইন রাজ্যে আলাদা ‘বেসামরিক পর্যবেক্ষক সেইফ জোন’ প্রতিষ্ঠাসহ কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলোর সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের কথা ছিল। তবে এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের স্বভ‚মে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে সেইফ জোনের কথা নেই। তবে সেখানে ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তায় আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় থেকে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনের’ কথা বলা হয়েছে।
তিন্ত সোয়ে বলেন, এখন মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের জন্য আরও অনুক‚ল পরিবেশ তৈরিকে অগ্রাধিকার দেবে। রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত এসব বাস্তুচ্যুতদের ‘পৃথক আইনি মর্যাদা’ আছে। তালিকাভুক্ত এসব প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে যারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য তাদের ‘নাগরিকত্ব কার্ড’ দেয়া। বাকিদের দেয়া হবে ‘ন্যাশনাল ভেরিকেশন কার্ড’ (এনভিসি), যাকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের জন্য দেওয়া ‘গ্রিন কার্ড’ এর সঙ্গে তুলনা করেন এই কর্মকর্তা। সোয়ে দাবি করেন, বর্তমান মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে, যখন চরমপন্থী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরএসএ) সশস্ত্র হামলা চালায়। তার আগে রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সচেষ্ট ছিল। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।

 



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    বিশ্ব মিলে বারমাকে জুতা পেটা করো আর রোহিঙ্গাদের জন্য আরকান স্বাধীন করো। ইনশাআল্লাহ। বারমা শয়তানের শয়তানি বন্ধ হইবে না ওদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করো। রোহিঙ্গাদের জন্য আরকান স্বাধীন করো। ইনশাআল্লাহ ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
    বিশ্ব মিলে বারমাকে জুতা পেটা করো আর রোহিঙ্গাদের জন্য আরকান স্বাধীন করো। ইনশাআল্লাহ। বারমা শয়তানের শয়তানি বন্ধ হইবে না ওদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করো। রোহিঙ্গাদের জন্য আরকান স্বাধীন করো। ইনশাআল্লাহ ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
    বিশ্ব মিলে বারমাকে জুতা পেটা করো আর রোহিঙ্গাদের জন্য আরকান স্বাধীন করো। ইনশাআল্লাহ। বারমা শয়তানের শয়তানি বন্ধ হইবে না ওদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করো। রোহিঙ্গাদের জন্য আরকান স্বাধীন করো। ইনশাআল্লাহ ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Ahsan Ullah ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
    রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশ এর উচিত উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করা।
    Total Reply(0) Reply
  • mdrazaul Karim ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    সরকারকে দোষ চাপিয়ে কি লাভ ওই সময় আশ্রয় দেওয়াতে দলবল নিরবিশেষে সবাই খুশি হইছিল মুসলিম বলে আমরা অনীহা জানাইনি কিন্তু বর্তমান েপ্রঞাপট ভিন্ন ভারত কোন রকম চাপ দিবে না পাকিস্তান সাথে আমাদের দহরমমহরম ভালো না এখন সময় অতিবাহিত আর আল্লাহতাআলা ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Mizanur Rahman ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    বার্মা হলো খুনি, ভাটপার, মিথ্যা কথা বলতে পারে বেশি, বার্মা থেকে, চিনারা, হিন্দি রা লাভমান বেশি, তাই চিন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে, রুহিঙগা দের ওরা নেবে না, সরকারের সাহস ও কূটনৈতিক সম্পর্ক কারো সাথে ভালো নেই, সব মুসলিম দেশ কেন চুপ করে থাকবে?মহাথির, এরোদগান ছাড়া কোন নেতা নেই ।এই সমস্যা সাহস নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে ।উপায নেই রুহিঙগা ফেরত পাঠাতে ।
    Total Reply(0) Reply
  • SBJ CREATORS ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    বাংলাদেশ কি করবে এখন
    Total Reply(0) Reply
  • Tipu Sikder ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:২৬ এএম says : 0
    জাতীসঙ্গের উচিত মিয়ানমার’র প্রতি প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া, ক্ষতিপূরণ অর্জন করা। তা’ নাহলে বিশ্বে এহেনোবস্থা প্রসারিত হতেই থাকে বৈকি? যেমন : ফিলিস্তিন, সিরিয়া, কাশ্মিরসহ অন্যান্য। কোন সব্য সুষ্ঠু সমাজ ইহা বিরাজমান রাখতে চায় না নিশ্চয়ই, বিশ্ববাসী এর ব্যত্যয় দেখতে চায়না।
    Total Reply(0) Reply
  • bangas ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:২৯ এএম says : 0
    যতদিন না আমরা সামরিক রিঅ্যাকশন না দেখাবো, ততদিন এই সমস্যার সমাধান হবেনা. চীন যে মধ্যস্তথা করে সমাধান করবে ইটা বিশাস করা চরম বোকামি. কারণ ---- ১. চীন নিজেই মুসলিম নির্যাতন কোর্স, আর মায়ানমার এর সাথে তাদের ধর্মীয় মিল আছে এবং ২. সমস্যা শেষ হয়ে গেলে পলিটিকাল গেম শেষ হয়ে যাবে. তাই একমাত্র সমাধান হলো .....অন্যান্য মুসলিম দেশকে নিয়ে অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রেসার তৈরী করা. মায়ানমার ফুল মিলিটারি কনফ্লিক্ট এ যাবেনা. কারণ নিজের দেশ-এ তারা অনেক ওয়ার ফ্রন্ট-এ লড়াই করতেসে.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ