Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনাস্থা ভোটের মুখে বরিস

নারী ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিয়ে তদন্তের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে আনা হচ্ছে অনাস্থা ভোট। তাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিতে আগামী সপ্তাহেই ওই ভোট হতে পারে। শনিবার বিবিসিকে এমনটাই জানিয়েছেন এসএনপি দলের সিনিয়র নেতা স্টুয়ার্ট হোসি। তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে অনাস্থা ভোটের পদক্ষেপই একমাত্র পথ। এর আগে শুক্রবার এসএনপি প্রধান নিকোলা স্টারজিওন আগাম নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং সেই সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধান বিরোধী দল লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে সমর্থন করবেন বলে ইঙ্গিত দেন। এদিকে বরিস বলেছেন, সরকার আইন মেনে চলবে এবং যথাসময়েই ব্রেক্সিট হবে। শুক্রবার তিনি একথা বলেন। ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বরিস অঙ্গীকারবদ্ধ। আর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমপিদের ক্ষোভ স্বাভাবিক ব্যাপার। বরিস এখনও মনে করেন, ব্রিটেন চুক্তি করেই ইইউ ত্যাগ করবে। যদিও এমপিরা পার্লামেন্টে আইন পাস করেছেন যাতে বলা হয়েছে, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিটের সময় বাড়াতে ইইউর কাছে আবেদন করবেন। কিন্তু বরিস সেই আবেদনে সাড়া দিচ্ছেন না। সময় বাড়ানোর আবেদনকে তিনি ‘সারেন্ডার অ্যাক্ট’ বলে মনে করেন। বরিস মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ইইউর বন্ধুদের মধ্যে এ ধারণা দিচ্ছে যে, পার্লামেন্ট ব্রেক্সিটের পথ বন্ধ করে দেবে কিংবা তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করতে বরিসকে বাধ্য করবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জা ক্লদ জাঙ্কার বলেন, ব্রেক্সিট চুক্তিতে উপনীত হতে তিনি এবং তাদের প্রধান মধ্যস্থতাকারী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। অপর দিকে, নারী ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিয়ে তদন্তের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে উঠছে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ। ফলে তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, লন্ডনের মেয়র থাকার সময় আমেরিকার একজন ব্যবসায়ী নারীকে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলেন জনসন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জেনিফার আরকুরি নামের ওই নারী আমেরিকার নাগরিক। তার সঙ্গে জনসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এর ভিত্তিতে বরিসের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হতে পারে। মেয়র পদের অপব্যবহার করার জন্য বরিসের বিরুদ্ধে তদন্ত করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে প্রশাসন। স‚ত্রের খবর, নিজের বন্ধুদের কাছে বরিসের সঙ্গে তার ‘প্রণয়ের সম্পর্কে’র কথা নাকি ফাঁস করেছেন ওই নারী। এদিকে, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। রয়টার্স, গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ