বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের পর ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ইতিহাস বিভাগ ও জন-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন; ফ্রম দ্যা পারস্পেকটিভ অভ পিপলস স্টিস্ট্রি’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই স্লোগান দেন। তার এই স্লোগানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হতভম্ব হয়ে যায়। তার এ ধরণের বক্তব্যে দেয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হলেও মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
শফিকুর রহমান মিঠু তার ফেইসবুকে লিখেন, “অনেকদিন যাবতই লিখে আসছি...., এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আসলে কোন দিকে যাচ্ছে? দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার বক্তব্যে ‘জয় বাংলা, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জয় হিন্দ’ বলতে পারেন না, কোনভাবেই বলতে পারেন না। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী নন যে, রাজনৈতিক শ্লোগান দিবেন। আর ‘জয় হিন্দ’ তো অখন্ড ভারতের শ্লোগান। এই শ্লোগান দিয়ে তিনি তো রীতিমতো রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করে ফেলেছেন। এগুলি কি ওনারা অতি তোষামোদি করতে গিয়ে বলেন, নাকি উদ্দেশ্যমুলক বলানো হয়; সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। অবিলম্বে এই পদস্খলিত ভিসির অপসারণ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার দাবী করছি।”
“এই ভদ্র লোক ‘জয় হিন্দ’ ঘোষণা করে কি বুঝাতে চেয়েছেন? অশিক্ষিত মানুষ দালালি করলে মানা যায়, কিন্তু একজন ভিসির দালালি রহস্য বহন করে!” - মন্তব্য করেন জয়নাল আবেদিন আফান।
মশিউর রহমান জনির প্রশ্ন, ‘রক্তে কেনা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে স্বাধীন এই ভুখন্ডে দাঁড়িয়ে ‘জয় হিন্দ’ শ্লোগান দেয়ার দুঃসাহস পায় কীভাবে সে? ’
“রাবি ভিসির মুখে ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান সাধারণ কোনো ঘটনা নয়” বলে মনে করেন আহমেদ জুয়েল।
মাওলানা আহমদ বিন জহুর লিখেন, ‘কি বুঝলেন, এরা কেন শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় রাজনীতি চায় না? দেখেন, এরা কাদের দালাল।’
মতিউর রহমান লিখেন, “রাবি ভিসির 'জয় হিন্দ' স্লোগানের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামা উচিত। স্বাধীন দেশে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কীভাবে দেশবিরোধী স্লোগান দিতে পারে? এই স্লোগান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য অপমানজনক। রাবি ভিসির দ্রুত অপসারণ চাই।”
‘স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সরকারের কতটা দৃঢ় অবস্থান তা এই ভিসির বিচারের অবস্থানই বলে দিবে। অপেক্ষায় রইলাম, শুদ্ধি অভিযানের সাথে সাথে এসব ভারতীয় ..................দেরকেও পরিশুদ্ধ করা দরকার। ‘- দাবি আনিসুর রহমান লিমনের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।