Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দশ গ্রামের শতাধিক মানুষের বাড়তি আয়ের উৎস

কাজিপুরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাঁঠাল বাগান

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টি এম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে

বৃক্ষপ্রেমিক ইদ্রস আলী, গোলাম হোসেন, আবু সাইদ, সালাম, নূরুল ইসলাম, কামরুল হাসান, শহিদের কাঁঠাল বাগান দশ গ্রামের শতাধিক মানুষের বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। গত বছর কাঁঠাল বিক্রি করে আয় করেছে প্রায় দু’লাখ টাকা। এবারও তারা দুই লক্ষাধিক বাড়তি আয়ের সম্ভাবনা দেখছে। সূত্রে জানা গেছে, কাজিপুরের বিলচতল থেকে আফানিয়া পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই ধারে প্রচুর কাঁঠাল গাছ। গাছে-গাছে ঝুলছে হাজার হাজার কাঁঠাল। বাঁধ সংলগ্ন গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের বৃক্ষপ্রেমিকরা বাড়ির আঙ্গিনায়, বাঁধ ও সড়কের পাশে লাগিয়েছিল কাঁঠাল চারা। বনজ বৃক্ষের পরিবর্তে ফলজ বৃক্ষ লাগাতে তারা গ্রামবাসীকে উৎসাহিত করছে। গ্রামে মানুষ এগিয়ে আসে কাঁঠাল বাগান তৈরিতে। যার যার বাড়ি সংলগ্ন ওয়াপদা বাঁধের পাশে যে যেমন পেরেছে লাগিয়েছিল কাঁঠাল চারা। ৬/৭ বছর আগলে রেখেছিল তাদের হাতে রোপিত চারা। গাছে গাছে ফল ধরছে। গ্রামবাসী ও নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও কাঁঠাল বাজারজাত করা হচ্ছে। কাঁঠাল তাদের বাড়তি আয়ের জোগান দিচ্ছে। প্রতিটি বাড়িতে ১০/১২টি কাঁঠাল রয়েছে। এসব কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল ধরেছে। এবার বাগানে ফলন আগের বছরের চেয়ে কম। তার পরেও তারা অনেক টাকা আয়ের কথা ভাবছে। ওয়াপদার হিসাব ১০ কিলোমিটার জুড়ে বাঁধের দুই পাশে ৫ হাজারেও বেশি গাছে কাঁঠাল ধরেছে। মেঘাই গ্রামের শহিদ জানিয়েছে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে ১০ বছর আগে গ্রামে ভেঙ্গে যায়। নতুন মেঘাই থেকে মসলিম পাড়া পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ নির্মাণ করে। বাঁধ সংলগ্ন মেঘাই, নতুন মেঘাই, পলাশপুর, মসলিমপাড়া, মানিকপটল গ্রামের জায়গা জমির উপর দিয়ে ওয়াপদা হুকুম দখল করে নেয়। তাদের জায়গা জমির দিয়ে নির্মিত হয় বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বাঁধের নতুন মাটিতে ১০ বছর আগে তারা ফলদ বৃক্ষ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কাঁঠাল চারা ও বিচি রোপণ করে। ৪/৫ বছর আগে গাছ ফলন দেয়া শুরু করে। নিজে ও গ্রামবাসীর চাহিদা মিটিয়েও তাদের ঘরে বাড়তি অর্থ এসছে। ইদ্রস আলী, গোলাম হোসেন, আবু সাইদ, সালাম, নূরুল ইসলাম, কামরুল হাসান, শহিদ গত বছর ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে আয় করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপদ বিভাগ রাস্তা নির্মাণ করেছে। রাস্তায় শত-শত যাত্রী ওঠা-নামা করছে। মাইজবাড়ী, মেঘাই, মসলিমপাড়া, শুভগাছা, আফানিয়া, খুদবান্দি গ্রাম এখন কাঁঠাল গ্রাম হিসেবে পরিচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দশ গ্রামের শতাধিক মানুষের বাড়তি আয়ের উৎস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ