Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানিকগঞ্জে নয়ন হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন এবং অন্যজনের ১০ বছর কারাদন্ড

মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:৫১ পিএম

মানিকগঞ্জে চাঞ্চল্যকর নয়ন হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন এবং অন্যজনের ১০ বছর কারাদন্ডের আদেশ দিযেছেন আদালত।আজ (রবিবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় জনাকীর্ন আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম।

যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীর নাম মো. রাকিব নূর হৃদয় (১৯)। সে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বান্দুটিয়া এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। আর ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীর মো. রাকিব (১৯)। সে ওই এলাকার আসাদুজ্জামান সালামের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় বান্দুটিয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম মজিদের ছেলে মারুফ হাসান নয়ন ((১৯) তার বাড়ীতে হৃদয় ও রাজুসহ- তিন বন্ধু একসাথে ঘুমায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে হৃদয় ও রাজু তাদের বাসায় যাওয়ার আগে হৃদয়ের ফোন খুঁজে না পেয়ে হৃদয় নয়নকে তার মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ করে। নয়ন মোবাইল ফোন নেয়নি বলে জানালে নয়নের সাথে হৃদয়ের কথাকাটাটি হয় এবং এক পর্যায়ে হৃদয় নয়নকে দেখে নিবে বলে হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরের দিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শাইলীপাড়া এলাকার সামছুলের দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হৃদয় ও রাকিব নয়নকে প্রথমে কিল-ঘুষি লাথি মারে। একপর্যায়ে নয়ন মাটিতে রুটিয়ে পড়লে হৃদয় নয়নের বুকের ডান পাশে চাকু দিয়ে আঘাত করে। এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায নয়নকে সেখানকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। নয়নের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ নভেম্বর রাতে নয়ন মারা যায়।

এই ঘটনায় ২৭ নভেম্বর, নয়নের চাচা মো. ফরিদ আল মাহমুদ বাদী হয়ে হৃদয় ও রাকিবের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং মানিকগঞ্জ সদর থানার এসআই আশীষ কুমার সান্যাল ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর হৃদয় ও রাকিবকে অভিযুক্ত করে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

আদালতে ১৮জন ব্যক্তির স্বাক্ষীগ্রহণশেষে, আদালতের বিচারক এই রায় প্রদান করেন।

বাদী পক্ষ্য মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রেজা ফেরদৌস এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট একেএম আজিজুল হক।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ