বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের সকল নদী বন্দরে যাত্রিসেবা ও মানোন্নয়নে ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটস্থ আনন্দ শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, সেসব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি বিকাশের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশে অর্থনীতির ধারা বিকাশের লক্ষ্যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন নদী বন্দরে পন্টুন স্থাপনের জন্য প্রায় ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৪৫টি বিশেষ ধরনের টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের ২২ আগস্ট আনন্দ শিপইয়ার্ডের সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। আশা করা যায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে টার্মিনাল পন্টুনগুলো পাওয়া যাবে। প্রতিটি পন্টুনের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট, প্রস্থ ৩২ ফুট এবং গভীরতা ৭.৫ ফুট।
৪৫টি পন্টুন যেসব বন্দরে স্থাপন করা হবে, সেগুলো হলো- ঢাকা নদী বন্দরের সদরঘাটে ১৫টি, লালকুঠিঘাটে ৪টি, ওয়াইজঘাটে ৩টি, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে ৪টি, চাঁদপুর নদী বন্দরে ৪টি, ভোলা নদী বন্দরে ৩টি, পটুয়াখালী নদী বন্দরে ৩টি, মীরকাদিম নদী বন্দরে একটি, ফতুল্লা লঞ্চঘাটে দুটি, ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে দুটি, হুলারহাট লঞ্চঘাটে একটি, বরগুনা নদী বন্দরে একটি এবং খুলনা নদী বন্দরে দুটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।